অগ্রণী ব্যাংকের ৪ কর্মকর্তার কারাদণ্ড
অগ্রণী ব্যাংকের চার কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। ঢাকার বিশেষ জজ-২ হোসনে আরা বেগম সোমবার এ রায় প্রদান করেন। মামলায় আটজন বিভিন্ন সময় আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মোহাম্মদ উল্লাহকে (পলাতক) ১০ বছর, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. সলিমুল্লাহকে (পলাতক) সাত বছর, ব্যাংক কর্মকর্তা মো. সারোয়ার হোসেন ও ব্যাংক ম্যানেজার জুলফিকার আলীকে তিন বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
এ ছাড়া সবাইকে ১৮ লাখ ৭৮ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অপর আসামি রাবেয়া রহমানকে খালাস দেন আদালত। রাবেয়া রহমান ছাড়া সবাই গ্র্রীনরোড শাখার অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আসামি রাবেয়া ১৯৯৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর অগ্রণী ব্যাংক গ্রীনরোড শাখায় ৩৩০০৯৬৩২ নম্বর হিসাব খোলেন। ওই হিসাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা না থাকা সত্ত্বেও আসামিরা যোগসাজসে বিভিন্ন তারিখে চেকের মাধ্যমে ওই হিসাব থেকে ১০ লাখ ৯৮ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। পরবর্তী সময়ে আসামিদের সহায়তায় জিয়াউর আলম নামে ভুয়া ঋণ মঞ্জুর করে ২০০১ সালের ১৬ জানুয়ারি চার লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।
সর্বশেষ ২০০১ সালের ২৫ জানুয়ারি আসামি মোহাম্মদ উল্লাহসহ অন্যান্য আসামির যোগসাজসে গ্রীনরোড অগ্রণী ব্যাংক হতে তিন লাখ ৮০ হাজার টাকা ভুয়া ঋণ মঞ্জুর করে আত্মসাৎ করেন। সর্বমোট আত্মসাতের পরিমাণ ১৮ লাখ ৭৮ হাজার টাকা।