অনিয়মের অভিযোগে দুই মন্ত্রীর পদত্যাগ
জাপানের দুজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর আজ সোমবার তাঁরা পদত্যাগ করেছেন।
বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশটির শিল্পমন্ত্রী ইউকো ওবুচির কয়েক ঘণ্টা পর পদত্যাগ করেন বিচারমন্ত্রী মিদোরি মাতসুশিমা।
ওবুচির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক তহবিলের অর্থ অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। মাতসুশিমার বিরুদ্ধে নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে বিরোধীরা।
দুই নারী মন্ত্রীর পদত্যাগ প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
অ্যাবে বলেছেন, এই দুজনকে মন্ত্রিসভায় নিয়োগ দেওয়ার দায় নিচ্ছেন তিনি। কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁদের স্থলে নতুন মন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হবে।
পদত্যাগ করা দুজনই ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সদস্য।
২০১২ সালের ডিসেম্বরে অ্যাবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁর মন্ত্রিসভার কোনো সদস্য এই প্রথম পদত্যাগ করলেন। গত মাসে মন্ত্রিসভা পুনর্গঠন করেন অ্যাবে। এতে পাঁচজন নারী অন্তর্ভুক্ত হন। তাঁদের দুজন আজ পদত্যাগ করলেন।
পুনর্গঠিত মন্ত্রিসভায় প্রথম কোনো নারী হিসেবে দেশটির অর্থ, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান ওবুচি। জ্বালানি খাতেরও দেখভাল করতেন তিনি। তাঁকে জাপানের সম্ভাব্য প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। আজ অ্যাবের সঙ্গে আধঘণ্টার বৈঠকের সময় পদত্যাগপত্র দেন তিনি। তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ওবুচি। ব্যক্তিগতভাবে কোনো অপরাধ করার কথা অস্বীকার করেছেন তিনি। তবে অ্যাবের নির্ধারণ করা প্রধান লক্ষ্য অর্জনে অবদান রাখতে না পারার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
৪০ বছর বয়সী ওবুচি ছিলেন তারকা মন্ত্রী। কিন্তু গত সপ্তাহে অভিযোগ ওঠে, তাঁর লোকজন রাজনৈতিক তহবিলের বিপুল পরিমাণ অর্থ রূপচর্চা ও আনুষঙ্গিক সামগ্রী কেনাসহ অরাজনৈতিক কাজে ব্যয় করেছেন। এ ছাড়া তাঁর নির্বাচনী এলাকার অধিবাসীদের টোকিওতে বাসে করে নিয়ে নামমাত্র খরচে নাটক দেখার জন্য আমন্ত্রণ দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। একে ‘ভোট কেনা’ বলে অভিহিত করেছেন বিরোধী আইনপ্রণেতারা।
ওবুচির পদত্যাগের কয়েক ঘণ্টা পর অ্যাবে জানান, মাতসুশিমাও পদত্যাগ করেছেন।
মাতসুশিমার বিরুদ্ধে নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে বিরোধীরা। এই অভিযোগে গত শুক্রবার তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিরোধীরা তাঁর পদত্যাগ দাবি করে আসছিল।