নাটোরের গ্রামে গ্রামে শোকের মাতম, ৩৩ জনের দাফন সম্পন্ন
নাটোরের বড়াইগ্রামে স্মরনকালের ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৩৩ জনের মধ্যে পরিবারে চলছে শোকের মাতম। জানাজা আর দাফনের সময় উপস্থিত স্বজন আর জনতার উচ্চস্বরের কান্নায় ভারি হয়ে ওঠে এলাকার আকাশ বাতাস।
এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঘটনাস্থল, হাসপাতাল ও সিধুলী গ্রাম পরিদর্শণ করে নিহতের পরিবারকে এক লাখ করে টাকা অনুদানের ঘোষনা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে ৩৩টি লাশের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এর মধ্যে গুরুদাসপুরের সিধুলী গ্রামে এক পরিবারের ছয় ভাইসহ ১৪জন, শিকারপাড়া ফাজিল মাদরাসার প্রভাষক রেজাউল করিম, বৃ-চাপিলা গ্রামের বাবুল (৪০), আব্দুল আওয়াল (৩০), পাটপাড়া গ্রামের জকের আলী, সোনাবাজু গ্রামের আবু হানিফ, চাঁচকৈড় বাজারের আলহাজ্ব আবুল খায়ের (৬৫), এবং অথৈ পরিবহনের মালিক ও চালক আলম হোসেন (৪০) ও পৌর সদরে এলজিইডির একজনের দাফন হয়েছে।
অন্য দিকে বড়াইগ্রাম উপজেলার পিঙ্গইনে নিহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুসের, সংগ্রামপুরে আব্দুর রহমান (৪৫) ও তার স্ত্রী আরিফা বেগমের, একই এলাকার বাজিতপুর গ্রামে আয়নাল হক (৩২) ও কিসমত আলীর (৪৫), জালশুকা গ্রামের মনিরুল ইসলাম ও তার ভাগ্নী সেবা ওরফে মোহনা (৮) এবং তারানগর গ্রামে কলেজ শিক্ষক জামাল হোসেন ও তার মেয়ে জান্নাতী খাতুন (৬) এর জানাজা হয়েছে।
দুর্ঘটনায় নিহত এলজিইডির গুরুদাসপুর উপজেলা প্রকৌশলী হাফিজুর রহমানের (৬০) লাশ রাতেই উপজেলা প্রশাসন তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়াতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসমিন আক্তার।