খুনের দায়ে পিস্টোরিয়াসের পাঁচ বছরের জেল
এ রায়ে অস্কার পিস্টোরিয়াসের মনের অবস্থা কী, তা জানার উপায় নেই। তবে আদালত যে রায় দিলেন, তা হয়তো কেউ ভাবতে পারেননি। গত মাসে আদালত ঘোষণা করেছিলেন, বান্ধবী রিভা স্টিনক্যাম্পকে ইচ্ছাকৃতভাবে খুন করেননি পিস্টোরিয়াস। তবে অনিচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ড ও বেআইনিভাবে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ রয়ে গিয়েছিল। সাত মাস ধরে চলা বিচারকাজ শেষে আজ চূড়ান্ত রায় দিলেন প্রিটোরিয়ার আদালত। এতে পাঁচ বছরের জেল হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার এ পা-হীন অ্যাথলেটের।
এ কী করলেন পিস্টোরিয়াস!
প্রিটোরিয়ার আদালতের বিচারক থোকোজাইল মাসিপা বলেছেন, ‘হত্যাকাণ্ডের জন্য পাঁচ বছরের জেল দেওয়া হয়েছে। এ রায় সমাজ ও অভিযুক্ত উভয়ের জন্য ন্যায় ও স্বচ্ছ হয়েছে।’ বিচারক আরও বলেন, ‘দেশের জন্য আজকের দিনটি বড় দুঃখের। তবে আরেক দিক দিয়ে দেখলে একটি বিষয় প্রতিষ্ঠা হলো, গরিব-বঞ্চিত, ধনী-বিখ্যাত—সবার জন্য আইন সমান।’ পিস্টোরিয়াসের শারীরিক সীমাবদ্ধতার কথা স্মরণ করে মাসিপা বলেন, ‘এটা ঠিক, অভিযুক্তের শারীরিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে যেকোনো পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে তিনি অসাধারণ দক্ষ।’
‘পরিকল্পিত খুন’ প্রমাণ হয়নি, কিন্তু…
আদালতের এ রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বাদী স্টিনক্যাম্পের পরিবার। স্টিনক্যাম্পের বাবা ব্যারি বলেছেন, ‘এ রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।’ তবে পিস্টোরিয়াসের আইনজীবী আশা করেছিলেন পাঁচ বছরের ১০ মাস জেলে কাটাবেন পিস্টোরিয়াস। বাকিটা গৃহবন্দী অবস্থায়।
পিস্টোরিয়াসের বিরুদ্ধে শাস্তিযোগ্য হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত
২৭ বছর বয়সী এ ব্লেড রানার শারীরিক সীমাবদ্ধতা ফুঁতকারে উড়িয়ে গোটা বিশ্বকেই চমকে দিয়েছিলেন। অথচ তাঁর বিরুদ্ধেই উঠল খুনের অভিযোগ! গত বছর ভ্যালেন্টাইনস ডেতে নিজ বাড়ির বাথরুমে চোর সন্দেহে বান্ধবীকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন পিস্টোরিয়াস। স্টিনক্যাম্প নিহত হওয়ার রাতেই পুলিশের হাতে আটক হন তিনি। পরদিন আদালতে ঠুকে দেওয়া হয় হত্যা মামলা। সেই থেকে পুলিশ-আদালত করেই কেটেছে সময়। অবশেষে আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের বিচারকাজ শেষ হলো। সূত্র: এএফপি, রয়টার্স।