কোনো অপপ্রচারই সরকারের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী
দেশের গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠায় বার বার বাধা এসেছে। কিন্তু গণতন্ত্র বিজয়ী হয়েছে। গণতন্ত্রের যাত্রা অব্যাহত থেকেছে। কোনো অপপ্রচারই সরকারের এই অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে পারবেনা। বাংলাদেশের প্রতিনিধি কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন (সিপিএ) ও ইন্টার-পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (আইপিইউ) নেতা নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে এটাই প্রমানিত হলো।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সিপিএ’র চেয়ারপারসন ও সাবের হোসেন চৌধুরী আইপিইউ’র প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় জাতীয় সংসদের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্পিকার শিরীন শারমিন ও সাবের হোসেনকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্পিকারের এ বিজয় জাতির জন্য বিরল এক সম্মান বয়ে এনেছে। দেশের টেকসই গণতন্ত্র বিকাশের জন্য এটা মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা লাভের পর বঙ্গবন্ধুর প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে আইপিইউ ও ১৯৭৩ সালে সিপিএ’র সদস্যপদ লাভ করে। ১৯৭৫ সালের জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর সামরিক শাসনের কারণে বাংলাদেশের সিপিএ ও আইপিএ সদস্যপদ কয়েকবার স্থগিত করা হয। ১৯৯১ সালের নির্বাচনের পর আমাদের নেওয়া উদ্যোগে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু দেশী-বিদেশী চক্রান্তকারীরা আবার বাংলাদেশের গণতন্ত্র নস্যাৎ করার চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে।
ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আশরাফুল মকবুল।