দেশে মোবাইল ব্যবহারকারী ১২ কোটি
মোবাইল ব্যবহারের দিক দিয়ে বাংলাদেশ পৃথিবীর দশম। ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় ১২ কোটি মানুষ এখন মোবাইল ব্যবহার করছে। পৃথিবীতে প্রায় ৭ দশমিক ১ বিলিয়ন মানুষ বাস করে, এর মধ্যে মোবাইল ব্যবহার করেন ৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন।
রাজধানীর গুলশানের স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত ‘ডেভলপমেন্ট অব স্ট্র্যাটিজি অ্যান্ড অপারেশনাল প্রডিউসারস ফর ইমপ্লিমেন্টিং আইসিটি বেজড অ্যাপ্রোচ ইন উইথ সেক্সুয়াল অ্যান্ড রিপ্রোডাক্টিভ হেলথ রাইটস্ (এসআরএইচআর)
অ্যান্ড এইচআইভি ইস্যু লিংকআপ-বাংলাদেশ’ প্রকল্পের কর্মশালায় এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। ইথিকস এ্যাডভান্স টেকনোলজি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ড. নিজাম উদ্দিন আহমদ এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
তথ্যে আরো জানানো হয়, ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহার শুরু হয়। ২০১১ সালে প্রায় প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিশ্চিত হয়। ২০১৪ সালে দেশে প্রায় ১২ কোটি মানুষ মোবাইল ব্যবহার করেন। দেশে চার কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন এবং ফেইসবুক ব্যবহার করেন প্রায় এক কোটি মানুষ।
‘এছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ৯৬ ভাগ মানুষই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। বাংলাদেশের ৮০ ভাগ কৃষক মোবাইল ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষিপণ্য বিক্রি করতে ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এছাড়া ৫০ ভাগ কৃষিপণ্য সরাসরি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়।’
প্রতিবেদনে জানানো হয়, পৃথিবীতে ৭ বিলিয়ন মানুষের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন এর মধ্যে ৪৫ ভাগ ইন্টারনেট ব্যবহাকারীর বয়স ২৫ বছরের কম। মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ, ইমেল, ফেইসবুক, ইন্টারনেট, ব্যাংকিং, টাকা লেনদেন, গেম, ক্যামেরা, ভিডিও, ফটো, ই-রিডার, ই-বুকসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে থাকে। এছাড়া মোবাইল ইন্টারনেটের মাধ্যমে শহর ও গ্রামের মানুষ স্বাস্থ্যসেবা নিচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা যায়, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ডেক্সটপ মিউজিয়ামে চলে যাবে এমনকি ল্যাপটপের ব্যবহারও কমে যাবে। এ সময় আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, জনগোষ্ঠীকে আইসিটির মাধ্যমে এইচআইভি বিষয়ে সচেতন করা হবে। মানুষের যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম এখন মোবাইল।
‘সারা বিশ্বে এখন ইলেকট্রনিক যোগাযোগ চলছে। এই যোগাযোগ চালানোর জন্য সরকার নানাভাবে কাজ করছে। আমরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রশাসন থেকে সব স্থানে কথা বলতে পারি। একটি ডিভাইসের মাধ্যমে আমরা সব ধরনের কাজ করতে পারছি। মোবাইলের মাধ্যমে হাতের নাগালে সেবা পাচ্ছি।’
তিনি আরো বলেন, আইসিটি শিক্ষা গ্রহণ করে সাবলম্বী হওয়া সম্ভব। এখন ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে ঘরে বসে আয় করা সম্ভব।’ এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সরকারের জাতীয় এইডস/এসটিডি কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর জহির উদ্দিন বাবরসহ ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা