গোলাম আযমের স্বাভাবিক মৃত্যুতে ‘হতাশ’ গণজাগরণ মঞ্চ
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের নেতা গোলাম আযমের স্বাভাবিক মৃত্যু “হতাশাজনক” ও “বেদনাদায়ক”। কেননা এই “কুখ্যাত” যুদ্ধাপরাধী তাঁর অপরাধের শাস্তি ভোগের আগেই মৃত্যুবরণ করেছেন।’
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইমরান এসব কথা বলেন। এ সময় ‘অভিশাপ দিচ্ছি’ শিরোনামে গোলাম আযমের মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশবিরোধী অপতৎপরতাগুলোর দলিল ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন তিনি। জাদুঘরের সামনে শুরু হওয়া এই প্রদর্শনী আগামী সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে।
ইমরান এইচ সরকার বলেন, গোলাম আযমের অপরাধের একমাত্র শাস্তি ছিল মৃত্যুদণ্ড। তাঁর স্বাভাবিক মৃত্যু কাম্য ছিল না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে না পারলে সে বিচার অর্থহীন।
গোলাম আযমের জানাজা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী বা মতিউর রহমান নিজামীকে দিয়ে পড়ানোর ইচ্ছা পোষণ করাকে ‘ধৃষ্টতা’ উল্লেখ করে ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘একজন যুদ্ধাপরাধী হয়ে তাঁর এত বড় সাহস কী করে হয়, অন্য দুজন যুদ্ধাপরাধীর মাধ্যমে তাঁর জানাজা পড়ানোর কথা বলে যায়? এর মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো, একাত্তরে বাংলাদেশবিরোধী ভূমিকা নিয়ে তাঁর কোনো অনুশোচনা হয়নি। সে স্বাধীন বাংলাদেশকে আরেকবার বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।’
গোলাম আযমের স্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ হিসেবে বিচারের ক্ষেত্রে ‘সরকারের রাজনৈতিক কালক্ষেপণকে’ দায়ী করে ইমরান বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষের কাছে পাঁচ বছর গোলাম আযমের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য যথেষ্ট সময় নয়। বাকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে যাতে এ রকম কালক্ষেপণ করা না হয়, সেজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে।’
এদিকে গোলাম আযমের মৃত্যুসংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি আনন্দ মিছিল হয়। ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) রাজু ভাস্কর্য চত্বর থেকে শুরু হওয়া ওই আনন্দ মিছিলে গণজাগরণ মঞ্চের কামাল পাশা সমর্থক অংশটি ছাড়াও টিএসসিকেন্দ্রিক বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা যোগ দেন।