কালক্ষেপণ যুদ্ধাপরাধীদের স্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে সরকারের কালক্ষেপণের কারণেই তাঁদের ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার। আজ শনিবার বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘সরকারের কালক্ষেপণ তাদের স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা বিধান করছে। এতে তারা প্রাপ্য শাস্তি পাচ্ছে না। গোলাম আযমের স্বাভাবিক মৃত্যু আমাদের ন্যায়বিচারের পথকে অনিশ্চিত করে তুলছে। এভাবে বিচারাধীন অবস্থায় যদি একে একে সব যুদ্ধাপরাধীরই স্বাভাবিক মৃত্যু হতে থাকে, তাহলে তা হবে জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জা আর ঘৃণার।’
এর আগে যুদ্ধাপরাধী আবদুল আলীমের রায় কার্যকর হওয়ার আগেই তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে ইমরান বলেন, ‘তাদের অপরাধের সমুচিত শাস্তির বিধান স্বাধীন বাংলাদেশ করতে পারেনি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে ক্ষমতায় থাকা সরকারও এদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে পারেনি।’
‘পুলিশ পাহারায়’ জাতীয় মসজিদে গোলাম আযমের জানাজার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে সরকারের ‘হিমশীতল নীরবতা’ জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়ে চলছে বলে মন্তব্য করেন ইমরান। তিনি জানান, যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করাসহ ছয় দফা দাবিতে আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী নভেম্বরে গণজাগরণ মঞ্চের জাতীয় কনভেনশন অনুষ্ঠিত হবে। এর অংশ হিসেবে সারা দেশে ‘জাগরণ পদযাত্রার’ প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হাসান তারেক, সাধারণ সম্পাদক লাকি আক্তার, মঞ্চের সংগঠক মারুফ রসূল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শাহবাগে ‘অভিশাপ দিচ্ছি’ শিরোনামে এক প্রদর্শনীতে গোলাম আযমের মুক্তিযুদ্ধ ও এর পরবর্তী সময়ে দেশবিরোধী অপতৎপরতার দলিল-দস্তাবেজ প্রদর্শন করছে গণজাগরণ মঞ্চ।