খালেদা জিয়ার তো হোটেলে ওঠার অভ্যাস আছে: হানিফ
সরকারের পতন ঘটানো না পর্যন্ত ঘরে ফিরবেন না -খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রশ্ন করেছেন, খালেদা জিয়া এখন কোথায়? তিনি কি ঘরে ফিরেছেন? তিনি কি হোটেলে আছেন, না রাস্তায় ঘুরছেন? ওনার তো আবার হোটেলে ওঠার অভ্যাস আছে।
রোববার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক যৌথ সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস পালন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং তার অন্তর্গত দলীয় সংসদ সদস্য, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে এ যৌথ সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ।
মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ব্যাখ্যা করে হানিফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপির পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। এটা হয়েছে বিএনপির হতাশার কারণে। যার জন্য তারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে। ২০ দল থেকে অনেকে চলে গেছে। এ থেকেই প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেছিলেন। এ কথার মধ্যে মির্জা ফখরুল অশালীন ও অর্বাচীন কোথায় খুঁজে পেলেন।
হানিফ বলেন, আমি জানতাম মির্জা ফখরুল শিক্ষক মানুষ। কিন্তু এখন আমার বোধগম্য হয় না তিনি তার ছাত্রদের কি পড়াতেন। আমি তাকে বলতে চাই প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কথা বলার আগে ভেবে নেবেন। আপনার নেত্রী ও আপনাদের নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখে নেবেন।
বিএনপির নেত্রীর নীলফামারীর বক্তব্যের সমালোচনা করে হানিফ বলেন, খালেদা জিয়া বলেছেন, বিশ্ব নাকি সরকারকে স্বীকৃতি দেয় নাই। তিনি দুই বারের প্রধানমন্ত্রী হয়ে কীভাবে এ কথা বলতে পারলেন। কতটা রাজনৈতিক দৈন্যতা থাকলে এসব কথা বলেতে পারেন।
সিপিএ ও আইপিইউতে বিজয়ের কথা তুলে ধরেন তিনি দাবি করেন, সারা বিশ্বের সরকারগুলো আস্থা ও বিশ্বাস না থাকলে পরপর এ দুটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় বিজয় আসত না।
লতিফ সিদ্দিকীর গ্রেফতারের দাবিতে হরতাল ডাকা ইসলামি দলগুলোর সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ৭১এর প্রেতাত্মাদের খণ্ডিত অংশ এই হরতাল ডেকেছিল। তাদের একটাই লক্ষ্য দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা। কিন্তু দেশবাসী সচেতনতার সঙ্গে তাদের এই হরতাল প্রত্যাখান করেছে। আমি এজন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানাই।
এ সময় ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করায় লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার কঠোর পদক্ষেপের প্রশংসা করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। ইসলাম ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী জীবনযাপন করেন। এর আগে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি নির্ধারণ করে আওয়ামী লীগ।