বকশীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নামেই জরুরী বিভাগ, কাজে বাণিজ্য

downloadবকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সের জরুরী বিভাগ এখন নামের মধ্যে সীমাবদ্ধ । কাজের বেলায় এখানে কোনো সেবা পাওয়া যায় না। এই জরুরী বিভাগে এখন রোগীদের নিয়ে বাণিজ্য হয়। একজন মেডিকেল সহকারীর প্রেসক্রিপশন বাণিজ্যে সুনাম ক্ষুণœ হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। সেইসাথে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির স্বাস্থ্যসেবার মান দিন দিন ভেঙে পড়ছে। ফলে সাধারণ মানুষ সরকারি সেবা নিতে গিয়েও প্রতারণার শিকার হচ্ছে। এখনই এর ব্যবস্থা না নিলে সরকারের লক্ষ্য উদ্দেশ্য ভেস্তে যাবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।

জানা গেছে, বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রতিষ্ঠার পর উপজেলা বাসীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে পাখিমারা এলাকায় ৩১ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়। বিভিন্ন সময়ে ডাক্তার সঙ্কটের কারণে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হয়েছে। বর্তমানে বকশীগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসকের কোন সঙ্কট নেই।কিন্তু কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছে না রোগীরা । অভিযোগ উঠেছে , জরুরী বিভাগে চিকিৎসার নামে চলে কতিপয় মেডিকেল সহকারীর বাণিজ্য । বিশেষ করে মেডিকেল সহকারী ডা. শহিদের বিরুদ্ধে রোগীদের অভিযোগ রয়েছে। মেডিকেল সহকারী ডা. শহিদ যখন ডিউটিতে থাকেন তখন তিনি রোগীদের অসৌজন্যমূলক আচরণসহ রোগীদের পকেট খালি করতে তৎপর থাকেন। মুখে মিষ্টি কথা বললেও ভেতরে ভেতরে বাণিজ্য মনোভাব থাকে সারাক্ষণ। তিনি হাসপাতালের সামনে একটি চেম্বারে বসেন। অভিযোগ রয়েছে জরুরী বিভাগের রোগীদের তিনি চিকিৎসা না দিয়ে তার চেম্বারে নিয়ে বিভিন্ন টেস্ট, এন্টিবায়েটিক ওষুধ ব্যবস্থা পত্র দিয়ে থাকেন। একজন রোগী জানান, ওই ব্যবস্থাপত্রে এমন ওষুধ লেখা হয় যা শহরের কোথাও পাওয়া যায় না। শুধুমাত্র হাসপাতালের গেটে কয়েকটি ফার্মেসীতে ওই ওষুধগুলো পাওয়া যায়। বিশেষ করে একটি ইউনানী কোম্পানির ওষুধ তিনি বেশি বেশি প্রেসক্রিপশন করেন। ওই ইউনানী কোম্পানির ও অন্যান্য কোম্পানির সাথে গোপন চুক্তির ভিত্তিতে এসব প্রেসক্রিপশন করা হয়। এভাবে আরও কয়েকজন রোগী জানান, জরুরী বিভাগে গেলে মেডিকেল সহকারী ডা.শহিদ রোগীদের ধোকা দিয়ে প্রেসক্রিপশন নিতে উৎসাহিত করেন। ফলে জরুরী বিভাগে এখন সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। অবিলম্বে ডা. শহিদের বদলি করে তার প্রেসক্রিপশন বাণিজ্যের ভিত্তি ভেঙ্গে দেওয়া উচিত।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com