স্বাগতিকদের কষ্টের জয়
সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে কষ্টের জয় পেয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ দাঁড়ায় মাত্র ১০১ রান। কিন্তু মাত্র ৬২ রানে তুলতেই ছয় উইকেট হারায় টাইগাররা। ফলে জয় নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়। তবে অষ্টম উইকেটে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও তাইজুল ইসলাম ১৯ রানের এক জুটি গড়ে দলকে তিন উইকেটের জয় এনে দেন।
শেষ পর্যন্ত মুশফিক ২৩ ও তাইজুল ইসলাম ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।
সোমবার জয়ের জন্য মাত্র ১০১ রানের টার্গেটে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে স্কোর বোর্ডে কোন রান যোগ না হতেই তিন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলের শূণ্য রানে আউট হয়ে যান দুই ওপেনার তামিম ইকবাল, শামছুর রহমান ও ওয়ান ডাউনে খেলতে নামা মমিনুল হক।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে সাকিব আল-হাসানের সঙ্গে চল্লিশোর্ধ রানের একটি জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দলীয় ৪৬ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৫ রান করে চাতারার বলে আউট হয়ে যান সাকিব।
সাকিব ফেরার পর মাহমুদুল্লার সাথে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। কিন্তু বেশি দূর এগোয়নি এই জুটি। দলীয় ৬২ রানের মাথায় চিগুম্বুড়ার বলে বোল্ড হয়ে যান প্রথম ইনিংসে অর্ধশতক করা মাহমুদুল্লাহ (২৮)।
এর তিন বল পরই চিগুম্বুড়ার বলে কট বিহাইন্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন শুভাগত হোম চৌধুরী।
এরপর ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করে উইকেটে আসেন শাহাদত হোসেন রাজিব। এবং ১৬ বল খেলে একটি করে চার ও ছয়ের সাহায্যে ১১ রান করেন দলীয় ৮২ রানে আউট হয়ে যান এই পেসার।
এরপর স্পিনার তাইজুল ইসলাম উইকেটে এসে ২৩ বলে ৪ চারের সাহায্যে ১৫ রানের দারুণ এক ইনিংস উপহার দেন। ফলে শেষ পর্যন্ত কষ্ট করে হলেও ৩ উইকেটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে বাংলাদেশ।
এর আগে তাইজুল ইসলামের ঘুর্ণি জাদুতে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১১৪ রানেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে দল। ফলে জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় মাত্র ১০১ রান।
দ্বিতীয় ইনিংসে বংলাদেশের পক্ষে স্পিনার তাইজুল ইসলাম একাই আট উইকেট তুলে নিয়েছেন। ১৬.৫ ওভার বল করে ৩৯ রানের বিনিময়ে আটটি উইকেট দখল করেন তাইজুল। অপর দুটি উইকেট একটি করে ভাগ করে নিয়েছেন সাকিব আল-হাসান ও শাহাদাত হোসেন রাজিব।