‘প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাকে কলঙ্কিত করা হচ্ছে’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাকে কলঙ্কিত করা হচ্ছে।
সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে উচ্চতর মানববিদ্যা ও গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত “৩০ বছরের স্মৃতিচারণ” শীর্ষক অনুষ্ঠানে ১৯ অধ্যাপককে উত্তরীয় ও ক্রেস্ট প্রদান করতে গিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আজকে সারা পৃথিবী এক বিন্দুতে অবস্থান করছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এগিয়ে গেলেও মানববিদ্যা পিছিয়ে রয়েছে।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ অধ্যাপককে উত্তরীয় ও ক্রেস্ট প্রদান করেছে কলা অনুষদ কেন্দ্রিক উচ্চতর মানববিদ্যা ও গবেষণা কেন্দ্র। এছাড়া গবেষণা কেন্দ্রের ত্রিশ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই ১৯ অধ্যাপককে উত্তরীয় প্রদান করা হয়েছে।উচ্চতর মানববিদ্যা ও গবেষণা কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক ড. সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. প্রদ্বীপ কমার রায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
এদিকে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যাদেরকে উত্তরীয় ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়েছে তাদের মধ্যে ৬ জন অধ্যাপক ৯ জন সাবেক পরিচালক এবং ৪ জন অতিথি রয়েছেন।
উত্তরীয় ও ক্রেস্ট প্রাপ্ত অধ্যাপকরা হলেন, অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আব্দুল মোমিন চৌধুরী, অধ্যাপক ড. এ্যামিরিটার্স আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলাম।
প্রাক্তন পরিচালকদের মধ্যে যারা উত্তরীয় পেলেন তারা হলেন, কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. ওয়াকিল আহমেদ, অধ্যাপক ড. ফজলুল আলম, অধ্যাপক ড. শরীফ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ড. নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাস, অধ্যাপক ড. আহমদ কবির, অধ্যাপক ড. কাজী নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আজিজুর রহমান (প্রয়াত), অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান।
অতিথিদের মধ্যে যাদেরকে উত্তরীয় ও ক্রেস্ট প্রাপ্তরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সদরুল আমীন, বাংলা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম এবং অধ্যাপক ড. জাবেদ হায়দার চৌধুরী।
কেন্দ্রের স্মৃতিচারণ করে অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম বলেন, যখন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠা করা হয় তখন এর কোনো কার্যালয় ছিলনা। ডিন অফিসেই এর বিভিন্ন প্রোগ্রাম করা হতো। কেন্দ্রের এখন অনেক উন্নত হয়েছে আগামী দিনে এর অগ্রযাত্রা বজায় থাকবে।
এছাড়া অনুষ্ঠানে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সদরুল আমীন, বাংলা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রের প্রাক্তন সভাপতি ও পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।