র্যাব দেখেই পালালেন প্রধান অতিথি!
১. মতিউর রহমান নিজামী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির।
২. নিজামী ১৯৭১ সালে নিখিল পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র সংঘের (জামায়াতের তৎকালীন ছাত্র সংগঠন, বর্তমান নাম ইসলামী ছাত্রশিবির) সভাপতি ছিলেন।
৩. একাত্তরের কুখ্যাত গুপ্তঘাতক আলবদর বাহিনীর প্রধান ছিলেন নিজামী। পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর আলবদরের সদস্যরা একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যায় সহায়তা করেছে।
৪. ২০১০ সালের ২৯ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় নিজামীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৫. ২০১০ সালের ২ আগস্ট নিজামীকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
৬. ২০১২ সালের ২৮ মে ১৬টি অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই মামলায় নিজামীর বিচার শুরু হয়। প্রায় দেড় বছর ধরে সাক্ষ্য গ্রহণ চলে। এই মামলার দীর্ঘসূত্রতার অন্যতম কারণ, একই সময়ে চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র আটক মামলারও বিচার চলছিল। এ জন্য ওই মামলার অন্যতম আসামি নিজামীকে সপ্তাহে দুই দিন চট্টগ্রামে নেওয়ায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার কার্যক্রম ব্যাহত হয়। গত ৩০ জানুয়ারি ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায়ে নিজামীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
৭. ট্রাইব্যুনালে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাগুলোর মধ্যে এ পর্যন্ত সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চলেছে নিজামীর বিরুদ্ধে মামলার বিচারকার্যক্রম। এর রায়ও অপেক্ষমাণ ছিল সবচেয়ে দীর্ঘ সময়।
৮. গত বছরের ১৩ নভেম্বর প্রথম দফায় এ মামলার কার্যক্রম শেষে যেকোনো দিন রায় ঘোষণা করা হবে বলে জানান ট্রাইব্যুনাল। সেই থেকে এই রায়ের জন্য অপেক্ষার শুরু। এ বছরের ২৪ মার্চ মামলাটি দ্বিতীয় দফায় রায়ের অপেক্ষায় রাখা হয়। এর তিন মাস পর ২৪ জুন রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু রায় ঘোষণার দিন সকালে কারাগারে আটক নিজামী হঠাৎ ‘অসুস্থ’ হয়ে পড়েন। কারা কর্তৃপক্ষ ট্রাইব্যুনালকে জানায়, তাঁকে হাজির করা সম্ভব নয়। এর প্রায় চার মাস পর গতকাল দ্বিতীয় দফায় আজ এই রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়।
৯. গতকাল সন্ধ্যায় নিজামীকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।
১০. আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় নেওয়া হয়।