শেরপুরে পৃথক হত্যা ও ধর্ষণ মামলায় ২ আসামী গ্রেফতার

arrested_3শেরপুরে পৃথক ঘটনায় হত্যা ও ধর্ষণের পলাতক ২ আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরা হচ্ছে চাঞ্চল্যকর কবদুল সেখ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি দেলোয়ার হোসেন ওরফে বঙ্গু মিয়া (৫৫) ও মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামী ফরহাদ হোসেন ওরফে সোনালী (২৭)।

সোম ও মঙ্গলবার রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বুধবার দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ৪ ফেব্রুয়ারী রাতে শেরপুর সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর ভূঁইয়ারচর গ্রামের মৃত ময়েন সেখের ছেলে কবদুল সেখ প্রতিপক্ষের হাতে খুন হয়। ওই ঘটনায় কবদুলের ছেলে মঞ্জুরুল হক বাদী হয়ে আব্দুল হকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে শেরপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই আসামী দেলোয়ার হোসেন পলাতক ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের চকপাঠক মহল্লার এক আত্মীয়ের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শরীফুল ইসলাম বৃহস্পতিবার রিমান্ড শুনানীর তারিফ ধার্যক্রমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
এদিকে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর নকলা উপজেলার ডাকাতিয়াকান্দা গ্রামের মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে রাস্তা থেকে তুলে বাড়ীতে নিয়ে ধর্ষন করে এলাকার লম্পট ফরহাদ হোসেন ওরফে সোনালী। ওই ঘটনায় নকলা থানায় একটি মামলা হলে প্রায় ২ মাস পর মোবাইল ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে ৬ ফেব্রুয়ারী গাজীপুর জেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করে আনে পুলিশ। তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল হলে মামলাটির বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে। এরপর দু’টি মামলার বেড়াজালে ৪ জুন জেলা কারাগার থেকে বেরিয়ে যায় লম্পট সোনালী। ওই ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয় এবং এক পর্যায়ে ১৬ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ আবেদনে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানার আদেশ হয়। বুধবার আদালতে সোর্পদ করা হলে ভারপ্রাপ্ত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক রবিউল হাসান তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend