নালিতাবাড়ীতে খ্রিস্টভক্তদের দু’দিনব্যাপি তীর্থোত্সব শুরু : বৃহত্তর ময়মনসিংহে উৎসবের আমেজ
আজ বৃহস্পতি ও আগামীকাল শুক্রবার শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বারমারী সাধু লিওর খ্রিস্টধর্মপল্লীতে ফাতেমা রাণীর তীর্থস্থানে বিপুল উত্সাহ ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে খ্রিস্টভক্তদের বাত্সরিক ১৭তম তীর্থোত্সব পালিত হচ্ছে।
বৃহত্তর ময়মনসিংহের একমাত্র তীর্থপল্লী বারমারীতে এ উত্সব উপলক্ষে স্থানীয় খ্রিস্টভক্ত ছাড়াও বৃহত্তর ময়মনসিংহের খ্রিস্টভক্তদের মাঝে উত্সবের আমেজ বিরাজ করছে। শুধু তাই নয়, অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মাঝেও বিশেষ প্রস্তুতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে, হাজার হাজার ভক্তদের অংশগ্রহনে মোমবাতি জ্বালিয়ে আলোক শোভাযাত্রাসহ তীর্থের নানা নান্দনিক দৃশ্য দেখতে পর্যটনবেশী মানুষ আর অপরদিকে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের যেন শেষ প্রস্তুতি চলছে।
বৃহস্পতিবার সান্ধ্যকালীন খ্রিস্টযাগের মধ্য দিয়ে তীর্থোত্সবের উদ্বোধন করবেন ভ্যাটিক্যানের রাষ্ট্রদুত আর্চ বিশপ জর্জ কোচেরী। রাত ৮টায় আলোক শোভাযাত্রা, পাপস্বীকার, পবিত্র সাক্রামেন্তের আরাধনা, নিরাময় অনুষ্ঠান, গীতি আলেখ্য ও নিশি জাগরন অনুষ্ঠিত হবে। আলোক শোভাযাত্রায় হাজার হাজার খ্রিস্টভক্তগণ মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রায় ২ কিলোমিটার পাহাড়ী ক্রুশের পথ অতিক্রম করবেন। আগামীকাল শুক্রবার সকালে জীবন্ত ক্রুশের পথ ও সকাল ১০ টায় মহাখ্রিষ্টযাগের মাধ্যমে মহাতীর্থোত্সবের সমাপ্তি ঘোষণা করবেন ময়মনসিংহ খ্রিস্ট ধর্মপ্রদেশের বিশপ পনেন পৌল কুবি সিএসসি। এ তীর্থোত্সবে কাল শুক্রবার সকালে সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মি. প্রমোদ মানকিন এর অংশ গ্রহণ করার কথা রয়েছে। এবারের মূল সুর‘ দয়াময়ী জননী মারিয়া’।
তীর্থ কমিটির সমন্বয়ক রেভারেন্ট ফাদার মনিন্দ্র এম চিরান জানান, এবারে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক দেশি-বিদেশি তীর্থযাত্রীরা অংশ গ্রহন করছেন। তীর্থ উত্সব উপলক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, আনসার, দমকল বাহীনিসহ সাদা পোশাকে অনেক নিরাপত্তাকর্মী আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিয়োজিত থাকছে।