তিতাসে ৫০ টাকার জন্য সংখ্যালঘু গৃহিণীকে হত্যা
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় ৫০ টাকার জন্য সংখ্যালঘু পরিবারের এক গৃহিণীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতের এ ঘটনার পর আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ উপজেলার জগৎপুর গ্রামের কবুইতপাড়া (জেলে পাড়া) থেকে ওই গৃহিণীর লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত জেসমিন বেগমের পিতা আব্দুল বারেক (৫০), মাতা মিনরা বেগম(৪৫), ছোট বোন শাহিনুর(২২) ও পাশের বাড়ির আউয়াল মিয়ার ছেলে সোহেলকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে। নিহত গৃহিণী জগৎপুর গ্রামের জগদিশ চন্দ্র দাশের স্ত্রী কানন বালা (৫০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের সৌদী প্রবাসী মো. শেখ ফরিদের স্ত্রী জেসমিন আক্তারের নিকট কয়েকদিন পূর্বে ৫০ টাকায় মাছ বিক্রি করে কানন বালা। গতকাল বুধবার বিকেলে পার্শ্ববতী বাতাকান্দি বাজারে সাপ্তাহিক হাট বসে। হাট থেকে সদাইপাতি করার জন্য জেসমিনের নিকট টাকা চাইলে সন্ধ্যায় দিয়ে দিব জানায় সে। সন্ধ্যার পর সেই টাকা চাইতে গেলে জেসমিন বেগম কানন বালাকে গালমন্দের এক পর্যায়ে চুলের মুঠি ধরে লাথি মারলে ঘটনাস্থলেই কানন বালা মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে। সেই সময় নিহতের স্বজনরা আহত কানন বালাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে জেসমিন বেগম পক্ষ বাধা প্রদান করে। পরে তাদের বাধার কারণে বাড়িতেই কানন বালার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে তিতাস পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত কানন বালার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনার সাথে জড়িত জেসমিনকে না পেয়ে পুলিশ তার পিতা আব্দুল বারেক, মাতা মিনরা বেগম, বড় বোন রেকসোনা, ছোট বোন শাহিনুর ও প্রতিবেশী আউয়াল মিয়ার ছেলে সোহেলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
নিহতের ছেলে রামপদ চন্দ্র দাশ বলেন, আমরা সংখ্যালঘু বলে আমরা কি এর বিচার পাব না।
তিতাস থানার ওসি তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বলেন, নিহতের ছেলে বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে তিতাস থানায় মামলা দায়ের করেছে। আমরা এ পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকীদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে।