শেরপুরের বারোমারিতে পালিত হলো ক্যাথলিক খ্রীস্টানদের তীর্থ উৎসব
বাংলাদেশে ক্যাথলিক খ্রীস্টানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব বলে খ্যাত ‘ফাতেমা রানী’র তীর্থ উৎসব পালিত হলো শেরপুরের নালিতাবাড়ীর বারোমারী ক্যাথলিক মিশনে। ৩০ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই তীর্থ উৎসবে যোগ দিয়েছেন ১০ হাজারেরও অধিক মারিয়া ভক্ত।
উৎসবের প্রথম দিন থেকেই যোগ দেন ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূত জর্জ কুচেরী। দ্বিতীয় দিন খ্রীস্টযোগ উৎসবে যোগ দেন বাংলাদেশ সরকারের সমাজ কল্যান প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন। এসময় শেরপুরের জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন, পুলিশ সুপার মেহেদুল করিমসহ প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবছর অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে পালিত হয় এই তীর্থ উৎসব। সারাদেশের ক্যাথলিক খ্রীস্টানদের সবচেয়ে বড় তীর্থ উৎসবের এটি। সারাদেশের ক্যাথলিকরা মা মারিয়ার অনুগ্রহ পেতে এই উৎসবে যোগ দেন। দেশের বাইরে থেকেও অনেক খ্রীস্টান আসেন উৎসবে অংশ নিতে। মূলত যীশুর মাতা মরিয়ম বা মারিয়াই শেরপুরের বারোমারী মিশনে পুজিত হন ফাতেমা রানী রূপে। অনেকটা স্পেনের আদলে চলে এই তীর্থ উৎসব।
এই উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে আলোর মিছিল। মা মারিয়া তথা ফাতেমা রানীর প্রতিকৃতিকে সামনে নিয়ে হাজার হাজার ক্যাথলিক খ্রীস্টান প্রজ্জলিত মোমবাতি হাতে এই আলোর মিছিলে শরিক হন। ৩১ অক্টোবর রাত ৮টায় অনুষ্ঠিত হয় এবারের আলোর মিছিল।