দোহারে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী টাকা জাল করা সম্ভব হলেও মুক্তিযোদ্ধার সনদ জাল করা আর সম্ভব হবে না
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বাংলাদেশের টাকা জাল করা সম্ভব হলেও মুক্তিযোদ্ধার সনদ আর জাল করা সম্ভব হবে না। সরকার বিশ্বের সর্বাধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ প্রদানের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তিনি শুক্রবার ঢাকার দোহারের জয়পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সুধী সমাজ আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, দেশের প্রতিটি উপজেলায় অচিরেই মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যেই আর্থিক বরাদ্দ দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য আগামী অর্থবছর থেকে সরকারি হাসপাতালে একাধিক ওয়ার্ড সংরক্ষিত থাকবে এবং তাদের ভিআইপি মযার্দা দেওয়া হবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা খান মো. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক খাদ্য মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপির সাথে এখন কোন সংলাপের প্রয়োজন নেই কারন ২০১৯ সালের আগে দেশে আর কোন নির্বাচন হবে না। নির্বাচনের জন্য বিএনপিকে চার বছর অপেক্ষা করতেই হবে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সন্ত্রাস দমন ও মাদক নির্মূলে সরকার বদ্ধপরিকর। সে লক্ষ্যে সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামা, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ, সাধারন সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, আন্তর্জা্তিক ধারাভাষ্যকার শামীম আশরাফ চৌধুরী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার মো. রজ্জব আলী মোল্লা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবুল ও সাধারণ সম্পাদক আলী আহসান খোকন প্রমুখ।