১২ লক্ষ টাকা দিয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে কিনে বিয়ে
ভারতে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ১২ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনে নেওয়ার অভিযোগ উঠল এর রাজনৈতিক নেতার ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর কাড্ডালোরে। ১২ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনে নেওয়ার পর, দুই পরিবারের সামনেই বিবাহ বিচ্ছিন্ন্ দুই সন্তানের বাবা বাবুর সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে হয়। দু’পক্ষের আর্থিক ব্যবস্থপনায় সবটাই উতরে গিয়েছিল, কিন্তু হঠাত্ নিজের মেয়েকে ফেরত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মেয়েটির মা অখিলা।
অখিলা (নাম পরিবর্তিত) মাদ্রাস হাইকোর্টে হেবিয়াস করপাস মামলা করে মেয়েকে আদালতে তোলার আবেদন করেছেন। পেশায় আইনজীবী অখিলার বক্তব্য, মামলা মোকদ্দমার কারণে স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতার ছেলে বাবু তাঁদের বাড়িতে আসতেন। সেখানেই সে তাঁদের মেয়েকে দেখে। তারপর বাবু তাঁর ও তাঁর স্বামীর উপর চাপ সৃষ্টি করে মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য। অখিলার অভিযোগ, আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে বাবু তাঁদের উপর চাপ সৃষ্টি করে। মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিলে ১২ লক্ষ টাকার সম্পত্তি দেওয়ার কথাও বলে।
একপ্রকার চাপে পড়েই তাঁরা প্রাথমিকভাবে বাবুর শর্ত মেনে নেন বলে দাবি করেছেন অখিলা। অন্য দিকে, অখিলা ও আদেশের মেয়ে জানিয়েছে, তাঁর বাবা মা টাকার লোভেই এই বিয়ে দিতে রাজি হয়েছে।
বিয়ের পর অখিলা ও আদেশ জানতে পেরেছিলেন বাবুর আগের পক্ষের স্ত্রীর দুই সন্তান আছে। তারপরই আচমকা আদালতের দ্বারস্থ হন অখিলা।
এদিকে কাড্ডালার জেলার সমাজকল্যাণ দফতরের এক কর্মকর্তা জানালেন, অভিযোগ পেয়ে তিনি ছেলেটির বাড়িতে তদন্তে গিয়েছিলেন। কিন্ত্ত মেয়েটির উপর কোনও নির্যাতন হয়েছে বা সে খারাপ রয়েছে এমন প্রমাণ পাননি। তাছাড়া সে নাবালিকা তার প্রমাণও পাননি তিনি। তবে পরবর্তীতে মেয়েটির মা বার্থ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার পর পুলিশের সাহায্যে তাকে উদ্ধার করে আনা হয়। শীগগির তাকে জেলা শিশুকল্যাণ দফতরে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।