বাংলাদেশকে সোমবারের মধ্যে ‘জঙ্গি’ বিষয়ে তথ্য দেবে ভারত
ভারতের বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গি সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিয়ে আগামী সোমবারের মধ্যে বাংলাদেশকে তথ্য দেবে ভারত। ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ভারতে জামাতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) জঙ্গি কার্যক্রমের বিস্তারিত বিবরণও থাকছে গোয়েন্দা ওই প্রতিবেদনে।
গত এক মাসে ভারতের প্রভাবশালী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশানাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ), ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি), ন্যাশানাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি) মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স (এমআই), রিসার্চ অ্যালানিসিস উইং (আরএইউ)এবং ইনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট (ইডি) জঙ্গি কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত করেছে। এদের সম্মিলিত রিপোরর্ট বাংলাদেশের কাছে দেবে ভারত।
প্রতিবেদনে জানানো হবে, দুই বাংলার সীমানা মুছে বৃহত্তর বাংলাদেশ স্থাপন করার পরিকল্পনা নিয়েছিল জঙ্গিরা। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয় এবং আসামে গ্রুপ তৈরি করেছে তারা।
ভারতের বিভিন্ন প্রভাবশালী গণমাধ্যমের অনলাইন সংস্করণে ইতোমধ্যে তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
ভারত আরও জানাবে, জামাতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) বান্দরবান ও চট্টগ্রামে এ মূল প্রশিক্ষণ শিবির চালাচ্ছে। প্রশিক্ষণ শিবিরগুলো তৈরি করা হয়েছে ভারতে গ্রুপগুলোর তৎপরতা জোরদার করার উদ্দেশ্যে, পশ্চিমবঙ্গে শক্ত ঘাঁটি তৈরিতে। এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে জঙ্গিরা ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েন।
প্রতিবেদনে থাকছে জেএমবির হয়ে যে সব দলছুট গোষ্ঠীগুলো কাজ করছে তাদের একটি তালিকাও। তালিকার প্রথম দিকে থাকছে আনসারুল্লা বাংলা টিম, জামায়াতুল মুসলিমীন, হেফাজতে ইসলাম এবং তানজিম তামিরুদ্দিন দলের নাম যারা এখন জামাতুল মুজাহিদীনকে সহায়তা করছে।
ভারতের গোয়েন্দা রিপোর্টে আরও থাকছে, দলগুলো বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থার সুযোগ নিচ্ছে। সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলোকে মদদ দিয়ে তারা দুই বাংলার রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে।
সংগঠনের নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী করতে বাংলাদেশের মাটিতে রোহিঙ্গা মুসলিমের অভ্যুত্থানের প্রবল সম্ভাবনার বিষয়টিও বাংলাদেশকে অবগত করা হবে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।