বিএসইসি ভবনে আগুন, দমকলের ধারণা শর্টসার্কিট, আমার দেশের অভিযোগ নাশকতা
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বিএসইসি (বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন) ভবনের ১১ তলায় আমার দেশ পত্রিকার অফিসে অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও জানা যায়নি। পত্রিকা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ- ঘটনাটি রহস্যজনক, নাশকতার উদ্দেশ্যেই পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। অপরদিকে ফায়ার সার্ভিসের (দমকল) ধারণা, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
ঘটনা তদন্তে ফায়ার সার্ভিস পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। বিএসইসি ভবন কর্তৃপক্ষও পৃথক একটি কমিটি গঠনের আশ্বাস দিয়েছে।
আমার দেশের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ বলেন, ‘অফিসের যাবতীয় জিনিসপত্র পুড়ে গেছে। দলিল, সার্ভার, কম্পিউটার, এসিসহ ১১ বছরের যত আর্কাইভ ছিল, সবই ধ্বংস হয়েছে। দীর্ঘদিন পত্রিকাটি বন্ধ থাকায় এ অফিসের ভাড়া দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে বিএসইসি ভবন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেনা-পাওনা মিটিয়ে আমরা আজ (শুক্রবার) অফিস পরিবর্তন করতে চেয়েছি। এরই মধ্যে অফিসে আগুন লাগল।’
ঘটনাকে রহস্যজনক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি অগ্নিকাণ্ড নয়, কোনো সাধারণ ঘটনাও নয়। নাশকতার উদ্দেশ্যেই চক্রান্তমূলকভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। পত্রিকাটির প্রকাশনা চক্রান্তমূলকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, সম্পাদককে জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ চক্রান্তগুলোর ধারাবাহিকতায়ই আজকে অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে।’
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) মেজর মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সম্ভবত শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত। তবে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনে ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ হবে।’
বিএসইসি ভবনের চেয়ারম্যান মো. ইমতিয়াজ দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘এর আগে (২০০৭ সাল) যখন অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল, তখন প্রতিবেদন অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। বিএসইসি ভবনের পরিচালক (অর্থ) সৈয়দ মোফাজ্জেল হকের নেতৃত্বে আমরা পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করব এবং যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করব।’
বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল এনটিভির চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলী ফালু দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘উপরে গিয়েছিলাম, কিন্তু পানি ও ধোঁয়ার জন্য কিছু দেখতে পারছিলাম না। এর আগে ২০০৭ সাল ও পরে আরেকবার এ ভবনে আগুন লেগেছিল। সে সময়ের তদন্ত প্রতিবেদন তো দেখিনি। এতবার একই ভবনে কীভাবে আগুন লাগে, বুঝতে পারলাম না।’