বিচিত্র নারী বিচিত্র ১০ বাংলা ছবি
ঢাকাই চলচ্চিত্র ইতোমধ্যে অর্ধশত বছর পার করেছে। এর মধ্যে নির্মিত হয়েছে আড়াই হাজারেরও বেশি চলচ্চিত্র। পুরুষতান্ত্রিকতার দাপটে নারীর বিচিত্র রূপ চলচ্চিত্রে খুব কমই দেখা গেছে। বরং প্রচলিত মনোরঞ্জনের দিকটি বেশি স্থান পেয়েছে চরিত্রায়নে। নারীর নিজস্ব অনুভূতির অনুরণন খুব একটা আলো ছড়ায়নি রূপালী পর্দায়।
কিন্তু এর মাঝেও নারীর শক্তি ও সম্ভাবনাকে নিয়ে নির্মিত কিছু চলচ্চিত্রকে আলাদা করা যায়। সংখ্যার বিচারে তা খুব কমই মনে হতে পারে, কিন্তু নারী চরিত্রের বিশেষ বিশেষ দিকে আলো ফেলা হয়েছে এ সব চলচ্চিত্রে। তার বেশিরভাগই ফোক ঘরানার। বাংলার চিন্তাধারায় প্রকৃতিরূপে নারীকে আমরা দেখি। হয়তো সে অনুরণনে এ সব ছবিতে নারীর অধিষ্ঠান। আবার কিছু ছবিতে উঠে এসেছে গ্রামীণ নারীর সুখ-দুঃখ, প্রেম-বিরহ ও প্রাপ্তি-বঞ্চনার কাহিনী। শহুরে নারীর জীবন সংগ্রাম, চিন্তা-দর্শন সে অর্থে আসেনি।
বাংলা চলচ্চিত্রের ভাণ্ডার থেকে নারীপ্রধান ১০টি ছবির বিভিন্ন বিষয়ে জানাচ্ছেন ওয়াহিদ সুজন
রূপবান (১৯৬৫) : এটি মূলত যাত্রাপালা। বাংলার নারীর ধৈর্য, ত্যাগ ও সংগ্রামের অনবদ্য গাথা এটি। নারীর আশা-আকাঙ্খা ও মর্যাদাবোধের সফল চলচ্চিত্র রূপায়ন ‘রূপবান’। আবার এটি বাংলা চলচ্চিত্রের বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে ইন্ডাস্ট্রিতে একটি মাইলফলকও। পাকিস্তান আমলে উর্দুর দাপটে পূর্ব পাকিস্তানের অনেক নির্মাতা উর্দুতে ছবি তৈরি শুরু করেন। সে সময় পরিচালক ও প্রযোজক সালাহউদ্দিন নির্মাণ করেন ‘রূপবান’।
এটি ছিল বাংলা চলচ্চিত্রে প্রথম লোককাহিনীনির্ভর ও ‘সুপারহিট’ চলচ্চিত্র। পরবর্তী সময়ে এ পথে হেঁটেছেন অনেকে। রূপবানের অনেকগুলো ভার্সনও তৈরি হয়েছে।
কুষ্টিয়ার মেয়ে তন্দ্রা মজুমদার এ ছবিতে সুজাতা নামে আত্মপ্রকাশ করেন। রূপবান চরিত্রে অভিনয় করে তিনি রাতারাতি খ্যাতি পান। সত্য সাহার সঙ্গীতায়োজনে এবং আব্দুল আলীম ও নীনা হামিদের কণ্ঠে গাওয়া এ ছবির গান মানুষের মুখে মুখে ফিরত। এতে আরও অভিনয় করেন- মনসুর, চন্দনা, সিরাজুল ইসলাম, ইনাম আহাম্মদ, আনোয়ার হোসেন ও সুভাষ দত্ত।
সারেং বৌ (১৯৭৮) : শহীদুল্লাহ কায়সারের উপন্যাস অবলম্বনে ‘সারেং বৌ’ পরিচালনা করেন আবদুল্লাহ আল মামুন। এ ছবিতে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের এক নারীর জীবন সংগ্রাম স্থান পেয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, কদম সারেং ভালোবেসে বিয়ে করে নবিতনকে। বিয়ের কিছুদিন পরে আবার চলে যান জাহাজে। কদম মাঝেমধ্যেই নবিতনের কাছে চিঠি ও টাকা পাঠায়। কিন্তু গ্রামের মোড়ল ডাক পিয়নকে হাত করে সেই সব নিয়ে নেয়। তিনি অভাবের সুযোগে নবিতনকে লালসার শিকার বানাতে চান। কিন্তু নবিতন ঢেঁকিতে ধান ভানার কাজ করে সংসার চালান। কোনোভাবে মোড়লের ফাঁদে পা দেন না। এভাবে এগিয়ে যায় কাহিনী। স্বামী ফিরে আসার পর নবিতন নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি হন। একদম শেষ দৃশ্যে থাকে দারুণ চমক।
এ ছবিতে অভিনয় করেছেন ফারুক, কবরী, আরিফুল হক, জহিরুল হক, বিলকিস, বুলবুল ইসলাম ও ডলি চৌধুরী। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন আলম খান ও গান লিখেছেন মুকুল চৌধুরী। আব্দুল জব্বারের কণ্ঠে এ ছবির ‘ওরে নীল দরিয়া, আমায় দেরে দে ছাড়িয়া’ গানটি এখনও জনপ্রিয়। ১৯৭৮ সালে এ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জেতেন কবরী।
গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮) : নিজের লেখা উপন্যাস ‘দ্রোপদী এখন ট্রেনে’ অবলম্বনে ছবিটি নির্মাণ করেন আমজাদ হোসেন। আমাদের সমাজের বাস্তবতায় একজন খেটে খাওয়া গ্রামীণ নারীকে পদে পদে কত সমস্যায় পড়তে হয়, তা দেখানো হয়েছে এ ছবিতে। কিন্তু দৃঢ়প্রত্যয়ী নারী নিজের মর্যাদাবোধ নিয়ে এগিয়ে চলেন। বলা যায়, এ ছবির প্রথম কয়েকটি দৃশ্য আপনাকে কয়েক মিনিট বিমূঢ় করে রাখবে।
এ ছবিতে অভিনয় করেছেন- ববিতা, ফারুক, আনোয়ার হোসেন, রোজী সামাদ, আনোয়ারা, রওশন জামিল, এটিএম শামসুজ্জামান প্রমুখ। সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন আলাউদ্দিন আলী এবং গান লিখেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও রফিকুজ্জামান। ছবির জনপ্রিয় দুটি গান হলো- ‘হায়রে কপাল মন্দ, চোখ থাকিতে অন্ধ’ ও ‘আছেন আমার মোক্তার’।
ছবিটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে ১৯৭৮ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। ছবিটির সিক্যুয়াল ‘গোলাপী এখন বিলাতে’ মুক্তি পায় ২০১০ সালে। তবে তেমন সাড়া জাগাতে পারেনি।
ভাত দে (১৯৮৪) : আমজাদ হোসেন এ ছবির সংলাপ, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন। ছবিতে দেখা যায়, জরি একজন গরিব বাউলের মেয়ে। ছোটবেলায় অভাবের কারণে মা চলে যায়। অন্ধ বাউল বাবার অভাব-অনটনের সংসারে সে বড় হতে থাকে। জরি যখন বড় হয়, একদিন বাবাও ভাত যোগাড় করতে গিয়ে মারা যায়। এর পর শুরু হয় সহায়-সম্বলহীন এক দরিদ্র নারীর জীবন সংগ্রাম। আসে প্রেম ও অতঃপর করুণ পরিণতি।
ছবিটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- আলমগীর, শাবানা, রাজীব, আনোয়ার হোসেন ও আঁখি আলমগীর। গানের সুর ও সঙ্গীত করেছেন আলাউদ্দিন আলী। এ ছবির জনপ্রিয় একটি গান হলো- ‘কত কানলাম কত ডাকলাম আইলা না’। ১৯৮৪ সালে ‘ভাত দে’ সিনেমাটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কারসহ মোট ৯টি শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে নেয়। এর মধ্যে আছে- শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী শাবানা, শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী আঁখি আলমগীর, শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার, সংলাপ রচিয়তা ও পরিচালক আমজাদ হোসেন, শ্রেষ্ঠ প্রযোজক আবু জাফর খান, শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক এম এ বাসেত, শ্রেষ্ঠ চিত্র সম্পাদক মুজিবুর রহমান দুলু এবং শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক অঞ্জন ভৌমিক। এ ছাড়া বাংলা ছবির মধ্যে ‘ভাত দে’ প্রথম কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নেয়।
বেদের মেয়ে জোসনা (১৯৮৯) : বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম ব্যবসাসফল এ চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন তোজাম্মেল হক বকুল। এক বেদের মেয়ের সঙ্গে রাজকুমারের প্রেমকে কেন্দ্র করে চলচ্চিত্রটির কাহিনী গড়ে উঠেছে। নানা ক্লাইমেক্সের মধ্য দিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রেমের বিজয়ের মাধ্যমে ছবিটি পরিণতি লাভ করে। এ ছবিতে নারীর প্রেমের শক্তির পাশাপাশি শ্রমের মূল্য ও মানবিকতাবোধকে গুরুত্বসহকারে তুলে ধরা হয়। ছবিটি জনপ্রিয় পালা অবলম্বনে তৈরি।
এতে অভিনয় করেন- অঞ্জু ঘোষ, ইলিয়াস কাঞ্চন, মিঠুন, ফারজানা ববি, সাইফুদ্দিন, নাসির খান, শওকত আকবর, প্রবীর মিত্র, রওশন জামিল ও দিলদার। ছবির গানগুলো বেশ জনপ্রিয় হয়। সুর করেছেন আবু তাহের। এ ছাড়া মুজিব পরদেশীর ‘আমি বন্দি কারাগারে’ এ গানটি ছবিতে ব্যবহৃত হয়। চলচ্চিত্রটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও পুনর্নির্মাণ করা হয়।হাঙ্গর নদী গ্রেনেড (১৯৯৫) : বাংলাদেশ সরকারের অনুদানে সেলিনা হোসেনের একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্রটি পরিচালনা, শিল্প নির্দেশনা ও চিত্রনাট্য লিখেছেন চাষী নজরুল ইসলাম। সংলাপ রচনা করেছেন সেলিনা হোসেন। মুক্তিযুদ্ধের নারীর ত্যাগ-তিতিক্ষার অসাধারণ উপাখ্যান এ চলচ্চিত্র।
গল্পের কেন্দ্রে থাকে হলদি গাঁ আর সে গ্রামের এককালের দস্যি মেয়ে বুড়ী। বয়সে অনেক বড় চাচাতো ভাই গফুরের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের ফলে রাতারাতি গফুরের আগের পক্ষের দুই ছেলে সলিম ও কলিমের মা হয়ে যায়। বুড়ীর কোলে আসে নিজের সন্তান রইস। কিন্তু আর ১০টি শিশুর মতো নয় স্বাভাবিক নয়। ১৯৭১ সালে কিছু মুক্তিযোদ্ধাকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের সন্তানকেই মুক্তিযোদ্ধা বলে পাকিস্তান আর্মিদের হাতে তুলে দেন।
ছবিটিতে অভিনয়ে করেছেন- সুচরিতা, সোহেল রানা ও অরুণা বিশ্বাস। গান লিখেছেন মুন্সী ওয়াদুদ ও সুর করেছেন শেখ সাদী খান। শ্রেষ্ঠ পরিচালক, চলচ্চিত্র এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে চলচ্চিত্রটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জেতে।
পালাবি কোথায় (১৯৯৬) : শহীদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত ও অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদি প্রযোজিত ‘পালাবি কোথায়’ কমেডি ঘরানার চলচ্চিত্র। কিন্তু ছবির দৃশ্যের পর দৃশ্যে উন্মোচিত হয়েছে পেশার ক্ষেত্রে নারীরা কীভাবে যৌন হয়রানির শিকার হয়। এ ছবিতে বেছে নেওয়া হয় একটি গার্মেন্টসের তিন নারীকে।
বাংলাদেশের কমেডি ঘরানার ছবির মধ্যে এটি অন্যতম। ব্যবসায়িক সফলতা না পেলেও কাল্ট মর্যাদা লাভ করে। ছবিটিতে অভিনয় করেছেন- শাবানা, সুবর্ণা মুস্তাফা, চম্পা, হুমায়ুন ফরিদি ও আফজাল হোসেন। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন আলম খান।
খায়রুন সুন্দরী (২০০৭) : বহুল আলোচিত ছবিটি পরিচালনা করেছেন এ কে সোহেল। গ্রামবাংলার পটভূমিতে নির্মিত এ ছবিতে লোকধারার গান, নৃত্যসহ বিভিন্ন অনুষঙ্গ ব্যবহার করা হয়েছে, যা হয়ে উঠেছে সার্থক গ্রামীণ চলচ্চিত্র। এ ছবিতে খায়রুন নামের এক নারীর প্রেম ও তার করুণ পরিণতি ফুটে উঠেছে। সমাজে নারীরা নানা ধরনের অপবাদের শিকার হন। ছবিটি মুক্তির পর দারুণ ঝড় তোলে। বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম ব্যবসাসফল ছবির মর্যাদা পায়।
ছবিটিতে অভিনয় করেছেন- মৌসুমী, ফেরদৌস, দিলদারসহ অনেকে। মমতাজ বেগমের গাওয়া এ চলচ্চিত্রে ‘খায়রুন লো তোর লম্বা মাথার কেশ’ গানটি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে।
নিরন্তর (২০০৬) : হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস ‘জনম জনম’ অবলম্বনে আবু সাইয়ীদের অন্যতম সেরা একটি চলচ্চিত্র ‘নিরন্তর’।
বাবার অন্ধত্বের কারণে তিথিদের পরিবারে আকস্মিক দুর্যোগ নেমে আসে। কোনো চাকরি যোগাড় করতে না পেরে তিথি অন্ধকার পথে পা বাড়ায়। এ ছাড়া বয়ে বেড়ায় শৈশবের নির্যাতনের স্মৃতি। ছোট ভাইয়ের ব্যবসায় এক সময় তিথিদের পরিবার সচ্ছলতা ফিরে পায়। তিথিও দেহব্যবসা ছেড়ে দেয়। কিন্তু তার জীবন দিন দিন ফ্যাঁকাসে হতে থাকে। কোথাও কথা বলার একজন মানুষ খুঁজে পায় না।এতে অভিনয় করেছেন- শাবনূর, লিটু আনাম, ইলিয়াস কাঞ্চন, শহিদুল ইসলাম সাচ্চু, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ডলি জহুর ও আমিরুল ইসলাম। সঙ্গীত আয়োজনে ছিলেন এস আই টুটুল।
থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার (২০০৯) : আলোচিত চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এ ছবির প্রধান চরিত্র রুবা। নানা সামাজিক সঙ্কটে বেড়ে ওঠা তরুণী বেছে নেয় লিভ টুগেদার। একটি খুনের ঘটনায় সঙ্গী জেলে গেলে নানা ধরনের বিপদে পড়ে। এর মধ্যে সাহায্য করে এক কণ্ঠশিল্পী বন্ধু। ত্রিমুখী এক দ্বন্দ্বে ছবিটি এগিয়ে যায়।
চলচ্চিত্রটির প্রধান তিনটি চরিত্র অভিনয় করেছেন- নুসরাত ইমরোজ তিশা, মোশাররফ করিম ও তপু। এ ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রের অভিনয় করেছেন- আবুল হায়াত, এশা, শুভেচ্ছা, রানী সরকারসহ আরও অনেকে। ছবিটি দেশ-বিদেশে বেশ সাড়া ফেলে। সঙ্গীত পরিচালনা করেন রেজাউল করিম লিমন। হাবিব ওয়াহিদের পরিচালনায় ‘দ্বিধা’ গানটি খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করে।
উপরের নির্বাচনে বিষয় বৈচিত্র্যের দিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। তাই একে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে নির্বাচন বলা যাবে না। এ ছাড়া ফতেহ লোহানীর ‘আসিয়া’, জহির রয়হানের ‘বেহুলা’ ও ‘জীবন থেকে নেয়া’, সুভাষ দত্তের ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’, আলমগীর কবিরের ‘সূর্যকন্যা’, মসিহ উদ্দিন শাকেরের ‘সূর্যদীঘল বাড়ি’, চাষী নজরুল ইসলামের ‘শুভদা’ ও ‘বিরাজ বৌ’, শেখ নেয়ামত আলীর ‘অন্য জীবন’, শহীদুল ইসলাম খোকনের ‘ম্যাডাম ফুলি’, হুমায়ূন আহমেদের ‘চন্দ্রকথা’, জাহিদ হোসেনের ‘মাতৃত্ব’ ও নাসিরউদ্দিন ইউসুফের ‘গেরিলা’সহ অনেক নারীপ্রধান ছবি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসকে আলোকিত করেছে।