শ্রীবরদীতে এবার সরকারী ভবন লোপাট!
শ্রীবরদী (শেরপুর) সংবাদদাতাঃ এবার পুকুর চুরি নয় ঘটেছে সরকারী ভবন লোপাটের ঘটনা। এক রাতের মধ্যে একটি সরকারী পাকা ভবনের রান্নাঘর, বাথরুম ও বাউন্ডারী ওয়াল ভেঙ্গে ইট থেকে শুরু করে সব জিনিষপত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার রানী শিমূল ইউনিয়নে।
গত ২৬ অক্টোবর রাতে শ্রীবরদী উপজেলাধীন রানী শিমূল ইউনিয়নের কৃষি অধিদপ্তরের বি,এস কোয়ার্টারের রান্নাঘর, বাথরুম ও বাউন্ডারী ওয়াল ভেঙ্গে ভবনের ইট,রড,কাঠ সব নিয়ে যাওয়া হয়। আর এ দুষ্কর্মের হোতা হিসাবে অভিযোগের আঙ্গুল উঠেছে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু শামা কবিরের দিকে।
২ নং রানী শিমূল ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে দীর্ঘদিন যাবত উপজেলা কৃষি অফিসের আওতাধীন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার বাস ভবন ও অফিস হিসাবে একটি পাকা দালান ছিল। সম্প্রতি দালানটির অবস্থা ভালো না হওয়ায় তা কৃষি পরামর্শ কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত হতো।
কিন্তু গত ২৬ অক্টোবর রাতে লোকজন হাতুড়ি শাবল নিয়ে উক্ত দালানের রান্নাঘর, বাথরুম ও বাউন্ডারী ওয়াল ভেঙ্গে ইট, রড ও কাঠসহ সকল সরঞ্জাম নিয়ে যায়। সকালে ঘটনা জানতে পরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এফ, এম মোবারক আলী যান সরেজমিন অবস্থা দেখতে। পরে তিনি থানায় একটি জিডি করেন এ ব্যাপারে। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাটি তদারকি করতে গিয়ে চেয়ারম্যান আবু শামার ভাতিজা ফরহাদের বাড়ী ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য কাজলী বেগমের বাড়ী থেকে ভবনের ইট জব্দ করে।
এ ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন জানান, রাতের আঁধারে চেয়ারম্যান ভাতিজা সঙ্গীয় লোকজন নিয়ে দালানটি ভেঙ্গে সব কিছু নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য জানান, চেয়ারম্যান ক্ষমতাশীন দলের হওয়ায় ক্ষমতার জোরে কোন রকম আইন কানুন তোয়াক্কা না করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
উক্ত ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফরহাদ হোসেন নিশ্চিত করে বলেন রাতের আঁধারে চেয়ারম্যানের লোকজন উক্ত দালান ভেঙ্গে সব কিছু নিয়ে গেছে।
এদিকে এ ব্যাপারে উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জানান, দালানটি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের জায়গায় অবস্থিত। তবে দালানটি ভাঙ্গা বা বিক্রির ব্যাপারে কোন টেন্ডার বা কোটেশন হয়নি। দালানটি ভাঙ্গা হয়েছে স্বীকার করে তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না।
কৃষি কর্মকর্তা মোবারক আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য শেরপুর কৃষি অধিদপ্তরে যোগাযোগ করলে তারা একটি জিডি করতে বলেন। সে অনুযায় আমি থানায় একটি জিডি দায়ের করেছি।
এ সময় চেয়ারম্যান আবু শামা কবির তার কার্যালয়ে ছিলেন না এবং তার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।