কামারুজ্জামানের ফাঁসি বহাল থাকায় শেরপুরে আনন্দ মিছিল

Kamruzzaman-Rai-Pic-Sherpurএকাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেয়া জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদন্ড বহালের রায়ে তার নিজ জেলা শেরপুরে আনন্দ মিছিল করেছে একাত্তরে স্বজন হারা, মুক্তিযোদ্ধা, নির্যাতনে নিহতদের পরিবারের সদস্য ও সাক্ষীরাসহ মুক্তিযুদ্ধের স্ব-পক্ষের শক্তির মানুষ।

৩ নভেম্বর সোমবার সকালে ওই রায়ের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির মানুষ শহরে আনন্দ মিছিল বের করে। পরে শহরের থানা মোড় এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা ও সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ছানুয়ার হোসেন ছানুর নেতৃত্বে জেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিষ্টি মুখ করেন।
শেরপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ছানুয়ার হোসেন ছানু জানান, আমরা শেরপুরবাসী আজ কলঙ্ক মুক্ত হলাম। শহীদ গোলাম মোস্তফার ভাই মোশারফ হোসেন তালুকদার মানিক জানান, আমরা এ রায়ে খুশি। আমি আমার ভাই হত্যার বিচার পেয়েছি। দেশ ও শেরপুরবাসী কলঙ্ক মুক্ত হয়েছে।
এদিকে শেরপুরে কামারুজ্জানের গ্রামের বাড়ি বাজিতখিলাসহ জেলার সর্বত্র জামায়াত-শিবির যাতে রায়ের দিন কোনো রকম নাশকতামূলক কর্মকান্ড ঘটাতে না পারে সেজন্য শেরপুরের পুলিশ প্রশাসন কঠোর নজরদারি রয়েছে।
একাত্তরে শেরপুরের যেসব এলাকায় কামারুজ্জামানের নেতেৃত্বে এবং তার নির্দেশে জ্বালাও-পোড়াও, লুটতরাজ, গণহত্যাসহ বিভিন্ন অপকর্ম হয়েছে সেসব এলাকার স্বজন হারা ও ভুক্তভোগি এবং নৃশংস ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরাও কামারুজ্জামানের রায়ে আনন্দ প্রকাশ করেছে।
বিশেষ করে জেলা সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের সূর্যদী গ্রাম, শহরের সেরি ব্রিজ এলাকা এবং নয়আনী বাজারস্থ সুরেন্দ্র মোহনের বাড়ি, ঝিনাইগাতী উপজেলার আহম্মদনগর ও জৎপুর, নালিতাবাড়ি উপজেলার সোহাগপুর বিধবা পল্লীর ভুক্তভোগি, স্বজন হারা ও সাধারণ গ্রামবাসী কামারুজ্জামানের রায়ের কথা শুনে এলকায় ঘুরে ঘুরে শুধু স্মৃতি হাতরিয়ে বেড়াচ্ছে আর বিভৎস সেইসব দৃশ্যের কথা মনে করে দীর্ঘশ্বাস ফেলছে।
রায়ের বিষয়ে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুহিবুল ইসলাম খান জানান, সারা জেলায় পুলিশের কড়া নজরদারী ও কোনো রকমের যেন নাশকতামূলক কাজ কেউ না ঘটাতে পারে সে ব্যাপারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend