ঝিনাইগাতীতে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে শ্বশুরের কাঠের বাগান কর্তন
মুহাম্মদ আবু হেলাল, ঝিনাইগাতী ঃ শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলায় এক সম্ভান্ত পরিবারকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসাতে রাতের অন্ধকারে নিজের শ্বশুরের বাগান নিজেই কেটে মামলা করেছে প্রতিপক্ষের নামে। ঘটনাটি ঘটেছে কাংশা ইউনিয়নের দুপুরিয়া গ্রামে গত ২৭ অক্টোবর সোমবার দিবাগত রাতে। সরেজমিনে পরিদর্শনে ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, দুপুরিয়া গ্রামের মোঃ আজিম উদ্দিন মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম (টল্লা) দীর্ঘদিন বাংলাদেশ সেনা বাহিনীতে নিষ্ঠার সাথে চাকুরী শেষ করে অবসরে বাড়ীতে চলে আসেন । এবং চাকুরীরত সময় থেকেই ছেলে মেয়ের পড়া শুনার সুবিধার্থে শেরপুর শহরে বাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন এবং মাঝে মধ্যে গ্রামের বাড়ীতে বেড়াতে আসেন। এমতাবস্থায় ২০১০ সালে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আপন চাচা খোরশেদ আলম বাদী হয়ে নিজ ভাতিজা রফিকুল, শফিকুল ও বড় ভাই আজিম উদ্দিন মিয়ার নামে একটি মিথ্যে মামলা করে। মামলাটি বর্তমানে শেরপুরের জজ কোর্টে বিচারাধীন অবস্থায় আছে। আর এই মামলার ভারাটে হয়ে স্বাক্ষী হয়েছেন, একই গ্রামের সুলাইমানের ছেলে জুলফিকার আলী ওরফে জলফই(৩৫)। এছাড়া জলফয়ের জেঠা নুর মোহাম্মদ, বাবা সুলাইমান এলাকায় বিভিন্ন মামলার ভারাটে স্বাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষী দিয়ে থাকেন। একটি সুত্র জানায়, চাচা খোরশেদ আলমের দায়ের করা জমি সংক্রান্ত মামলার স্বাক্ষী চলমান অবস্থার মধ্যে থাকায় পতিপক্ষ আসামীদের শায়েস্তা করতেই জলফই তার নিজের শ্বশুর আলাউদ্দিনের ৩ মাস আগে রোপনকৃত ৫ শত চারা গাছের মধ্যে প্রায় ৪শত গাছ কেটে ফেলে পরের দিন অসবর প্রাপ্ত সেনাবিিহনীর সদস্য শফিকুল ইসলাম টল্লা ও তার ছোট ভাই মামুন মিয়াকে আসামী করে ঝিনাইগাতী থানায় একটি মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করে। অথচ ওই দিন দিবাগত রাতে অসবর প্রাপ্ত সেনাবিিহনীর সদস্য শফিকুল ইসলাম ছিলেন তার শেরপুরের বাসায় এবং ছোট ভাই মামুন ছিলো ভায়াডাঙ্গা বাসায় । শুধু তাই নয়, যেখানে জলফয়ের শ্বশুরের জমির সাথে লাগুয়া জলফয়ের বাবার রোপিত চারা গাছের কিছুই হয়নি। এলাকায় একাধিক লোকের সাথে কথা হয় এই গাছ কাটার বিষয়ে, একটি লোকও বিশ্বাস করেনা যে, অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্যের পরিবার এমন ঘৃন্য কাজ করতে পারে। এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের ভাষ্য মতে, একটি সম্ভান্ত পরিবারকে হেয় করতেই হয়তোবা মোটা অংকোর টাকার বিনিময়ে এমন ঘটনা তৈরী করেছে জুলফিকার ওরফে জলফই।