জিয়া নিঃসন্দেহে স্বাধীনতার ঘোষক, তবে বৈধতা নেই
নিঃসন্দেহে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক। তবে তার বৈধতা নেই বলে দাবি করেছেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজ্জামেল হক। তিনি বলেন, কেননা না তার আগেও দু’জন স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষ থেকে। তাদেরও কোনো বৈধতা নেই। আজ সোমবার রাজধানীর বিসিএস (প্রশাসন) একাডেমির ৯০-৯১তম আইন ও প্রশাসন কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীদের নিয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। শাহবাগ বিসিএস (প্রশাসন) একাডেমি ভবনে তিনি এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আ ক ম মোজ্জামেল বলেন, নিঃসন্দেহে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক। কিন্তু এর কোনো বৈধতা নেই। আমলাদের সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, আমলারাই প্রশাসনে বিভাজন ঘটিয়েছেন। জনপ্রতিনিধিরা কখনো প্রশাসনে কোনো বিভক্তি ঘটান না। তারা জনগণের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু, আমলারা একে অপরের বিরুদ্ধে থেকে প্রশাসনে বিভক্তি ঘটান। এতে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয় না। প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্র ও জনগণের কাছে আপনারা দায়বদ্ধ। আপনারা আইন-বিধি মোতাবেক কাজ করবেন। দেশ ও জাতিকে কিছু দিতে চাইলে অবশ্যই ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। এ জন্য আপনাদের কিছু ত্যাগ স্বীকার করারও মানসিকতা থাকা দরকার।
সচিবদের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ সম্পর্কে বলেন, যারা জালিয়াতি করেছেন, আমরা তাদের শনাক্তের কাজ করছি। এই জালিয়াতিতে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বঙ্গবন্ধুকে হেয় প্রতিপন্নকারীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, এ কে খন্দকার বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বলেছিলেন, তাঁর (বঙ্গবন্ধুর) নাকি স্বাধীনতার প্রস্তুতিই ছিল না। এর বিরোধিতা করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৬২ সাল থেকেই স্বাধীনতার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে আগরতলা মামলার আসমিদের প্রশ্ন করার আহ্বান জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোজ্জামেল হক বলেন, তাদের (আগরতলা মামলার আসামি) জিজ্ঞাসা করলেই প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে। তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা এ কে খন্দকারকে দিয়ে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে এসব কথা বলাচ্ছে। এসব কথা লেখাচ্ছে। এটা এক ধরনের ষড়যন্ত্র। অনুষ্ঠানে (বিসিএস) প্রশাসন একাডেমির পরিচালক (রেক্টর) শফিক আলম মেহেদী স্বাগত বক্তব্য দেন।