দ্রুত নির্বাচন না দিলে সরকার মধ্যবর্তী সর্বনাশে পড়বে : রিজভী
দ্রুত নির্বাচন না দিলে সরকার মধ্যবর্তী সর্বনাশে পড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দপ্তরের দায়িত্বে নিয়োজিত বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনা নেই। সুখের মখমলের গদি ছাড়তে তাদের (সরকার) মন চায় না। আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, জোর করে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রেখে মধবর্তী নির্বাচন না দিলে তাদের যে মধ্যবর্তী সর্বনাশের সম্ভাবনা হতে পারে সে সম্পর্কেও আওয়ামী লীগের নেতাদের সচেতন থাকা উচিত। ক্ষমতালিপ্সা তারা তলে তলে যতই প্রসারিত করবে, ততই তাদের বিপদের সম্ভাবনা থাকবে। জনগণকে বন্দি করে করে তারা কোনোদিন শান্তিতে থাকতে পারবে না। আজ সোমবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ হুঁশিয়ারি দেন।
১৯৭৪ সালের মতো ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল করতেও ষড়যন্ত্র হয়েছিল- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ বক্তব্যকে নির্জলা মিথ্যাচার অভিহিত করে রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই ষড়যন্ত্রতত্ত্ব চর্বিতচর্বন ছাড়াই কিছুই নয়। ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের কথা সারা বিশ্বের গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। তৎকালীন সরকারের ব্যর্থতা ও দুর্নীতির কারণে ওই সময়ে এতো বড় মানব বিপর্যয় ঘটেছিল। ওই দুর্ভিক্ষকে প্রধানমন্ত্রী ষড়যন্ত্র বলে সত্যকে ঢাকতে চাচ্ছেন। একইভাবে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার দেশে দ্বিতীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছে। ওই নির্বাচনে কোনো বিরোধী দল অংশ নেয়নি। সরকারের কিছু অনুগত দল অংশ নিয়েছে। ৫ জানুয়ারি একদলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে প্রতারিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
রিজভী আরো বলেন, জোর করে ক্ষমতায় থাকার জন্য ৫ জানুয়ারি ষড়যন্ত্রের নির্বাচন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন। এই ষড়যন্ত্রের ঘষেটি বেগম স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। তিনিই চক্রানত্ম করে ব্যাপকহারে গণতন্ত্রকামী বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হত্যা, নিষ্ঠুর পুলিশি দমনের এক বীভৎসতায় রক্তপাতে মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বাকশাল গঠন করে ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ ও ৫ জানুয়ারির অবৈধ নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রতত্ত্ব খুঁজে বেড়াচ্ছেন। রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ কখনই ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়নি বলেই বার বার আছাড় খেয়েছে। মিথ্যা প্রবঞ্চনা দিয়ে ক্ষমতায় এসে অবিরাম গণবিরোধী কাজ করে এরা দ্রুত গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে। তাদের (আওয়ামী লীগ) এই মুহূর্তে পথে, ঘাটে, নগরে, বন্দরে, গ্রামে-গঞ্জে প্রতিরোধ করতে হবে।