কাশিমপুর থেকে আবার ঢাকায় কামারুজ্জামান
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত একাত্তরের কুখ্যাত গুপ্তঘাতক আলবদর বাহিনীর বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের সংগঠক মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে গতকাল সোমবার রাতে কাশিমপুরের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাঁকে আবার ঢাকায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় বহাল রাখার পরে তাঁকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারা তত্ত্বাবধায়ক মিজানুর রহমান জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই নিরাপত্তার স্বার্থে গতকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে তাঁকে স্থানান্তর করা হয়। পরে তাঁকে আবার ঢাকায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় বহাল
ওই কারাগারে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত কামারুজ্জামান ছাড়াও হুজি নেতা মুফতি হান্নান, সৌদি রাষ্ট্রদূত খালাফ হত্যা মামলার আসামি ও বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার আসামিসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৫৭০ জন বন্দী রয়েছেন।
গতকাল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি বহাল রাখেন। মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ কামারুজ্জামানকে এ দণ্ড দিয়েছিলেন। ৪৩ বছর আগের আলবদরের সংগঠক কামারুজ্জামান বর্তমানে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল। এর আগে জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর ওই রায় কার্যকর হয়।