অ্যামনেস্টির গভীর উদ্বেগ!
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতাদের সহ অন্যান্য অপরাধেও একের পর এক মৃত্যুদন্ডের আদেশে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংগঠনটি মৃত্যৃদণ্ড বাতিল করার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে অবিলম্বে ফাঁসির ওপর স্থগিতাদেশ আরোপের আহ্বানও জানিয়েছে। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখার প্রেক্ষাপটে অ্যামনেস্টি তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই আহ্বান জানিয়েছে। অ্যামনেস্টির বাংলাদেশ গবেষক আব্বাস ফয়েজ বলেন, বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অব্যাহতভাবে আরোপ করা গভীর উদ্বেগজনক। গত মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণার ৯ মাস বিরতির পর এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে তিনটি ফাঁসির আদেশ ঘোষিত হলো। অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশকে অবশ্যই মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাতিল করার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে অবিলম্বে ফাঁসির ওপর স্থগিতাদেশ আরোপ করতে হবে এবং এটা নিশ্চিত করতে হবে যে বিচার বিভাগের ওপর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হবে না। ফাঁসি স্বাধীনতা যুদ্ধের শিকার লাখ লাখ লোকের জন্য ন্যায়বিচার বয়ে আনার বদলে কেবল সহিংসতার স্থায়ী চক্রই সৃষ্টি করবে। এই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) ২ নভেম্বর আরেক জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এর আগে ২৯ অক্টোবর জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীকেও মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আইসিটি যে ১২টি আদেশ দিয়েছে, তার সবই বিরোধী দলের সদস্যদের (প্রধানত জামায়াতে ইসলামীর সাথে সম্পৃক্তদের) বিরুদ্ধে। এগুলোর মধ্যে ৯টি মৃত্যুদণ্ডাদেশ।