হাতীবান্ধায় শিক্ষকের পিটুনিতে শিক্ষার্থী হাসপাতালে
মাদরাসায় পড়তে না চাওয়ায় এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পেটালেন শিক্ষক। আহত শরিফুল ইসলাম নামের ওই শিক্ষার্থী হাতীবান্ধা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
হাতীবান্ধা হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থী শরিফুলের পিঠে ও পায়ে বেত্রাঘাতের অসংখ্য দাগ। ডান চোখের উপরে রক্ত জমাট বেঁধে আছে।
শরিফুল জানায়, হাতীবান্ধা আলিমুদ্দিন হাফিজিয়া মাদরাসায় ছাত্রাবাসে থেকে সে পড়ালেখা করত। কিন্তু তার বাবা-মা তাকে স্কুলে পড়াবে বলে সেখান থেকে নিয়ে আসে।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার সকালে বাবা-মার অনুপস্থিতিতে ওই মাদরাসার বেলাল হোসেন হুজুর তাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে বাশের লাঠি দিয়ে মারতে থাকে- বলতে বলতে হাউ-মাউ করে কেঁদে উঠে শরিফুল।
শিশুটির মা সলিমা খাতুন জানান, ছেলেটিকে এমনভাবে মারা হয়েছে যে, ছেলেটির শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধেছে।
ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে হাতীবান্ধা আলিমুদ্দিন হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক বেলাল হোসেন সাংবাদিকের কাছে শিশুটিকে মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘ছেলেটি বেয়াদব। সে আমার নামে মিথ্যা কথা বলে যে- আমি নাকি ভালমতো পাড়াই না। তাই তাকে একটু শাসন করেছি।’