র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে সাকিব
একেই বুঝি বলে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন। নির্বাসন শেষে ক্রিকেটে ফিরে আবারও নিজের হারানোর রাজত্বও উদ্ধার করলেন সাকিব আল হাসান। খুলনা টেস্টের পর আইসিসির টেস্ট অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ স্থানটির দুয়ারও খুলে গেল তাঁর জন্য। আবারও শীর্ষে ফিরলেন বাংলাদেশি এই অলরাউন্ডার।
খুলনা টেস্টের আগে টেস্ট অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ের তিনে ছিলেন সাকিব। শীর্ষে ছিলেন ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দুইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ভারনন ফিল্যান্ডার। আজ আইসিসির প্রকাশিত সর্বশেষ র্যাঙ্কিংয়ে অশ্বিন (রেটিং পয়েন্ট ৩৫৭) এবং ফিল্যান্ডার (৩৪৮) দুজনকেই টপকে গেলেন সাকিব। তাঁর রেটিং পয়েন্ট এক লাফে গিয়ে পৌঁছেছে ৪১৯–এ। এটাই তাঁর ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রেটিং পয়েন্ট।
টেস্ট অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে সাকিবের প্রথম শীর্ষে ওঠাটা অসাধারণ পারফরম্যান্সের পুরস্কার। টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানটি চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মতোই নিজের করে নিয়েছিলেন ক্যালিস। ২০১১ সালে ডিসেম্বরে সেই টানা রাজত্বের অবসান। ৪৫৭ টেস্ট আর ৩৬৯৬ দিনজুড়ে শীর্ষে থাকা ক্যালিসকে সিংহাসনচ্যুত করেন সাকিব। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট কীর্তিতে (১৪৪ ও ৬, দুই ইনিংসে ৭ উইকেট) পাঁচ নম্বর থেকে এক লাফে চূড়ায় উঠে যান সাকিব। বাংলাদেশ শুধু নয়, ইতিহাসেরই মাত্র তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে সেঞ্চুরি ও ১০ উইকেট নিয়ে আরও সেই শীর্ষস্থানে ফেরা।
সাকিব সর্বশেষ শীর্ষে উঠেছিলেন গত আগস্টে। তখন তিনি নিষেধাজ্ঞার বেড়াজালে বন্দী। এই বছরে খেলেছেনই মাত্র দুটো টেস্ট। কিন্তু অশ্বিন ও ফিল্যান্ডার মাঠে খারাপ করায় তাঁদের রেটিং পয়েন্ট কমে। এরই সুবাদে শীর্ষে ফেরেন সাকিব। কিন্তু অন্যের বাজে খেলার সুবিধা নিয়ে শীর্ষে ফেরাটা নিশ্চয়ই পছন্দ হচ্ছিল না তাঁর। আবারও তিনে নেমে যাওয়ার পর এবার নিজে দুর্দান্ত খেলেই ফিরলেন শীর্ষে।
দুইয়ে থাকা অশ্বিনের সঙ্গে তাঁর রেটিং ব্যবধানটা এখন ৬২! এবার অনেক দিন শীর্ষস্থানের মুকুটটা তাঁর মাথাতেই থাকবে বলে আশা করা যায়। সেই প্রেরণায় ওয়ানডে অলরাউন্ডারের মুকুটটাও নিশ্চয়ই ফিরে পেতে চাইবেন। সেখানে এখন তিনে সাকিব (৩৬১)। ওপরে আছেন মোহাম্মদ হাফিজ (৪১১) ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস (৩৮৭)।