বাংলাদেশ থেকে আলু কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভারত। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশন থেকে সম্প্রতি এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার বরাবর একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. আনোয়ার ফারুক বলেন, “ভারতে রফতানি করলে আমাদের দেশে আলুর নতুন বাজার তৈরি হবে। কৃষকরাও ফসলের ন্যায্য মূল্য পাবেন।”
ভারতের পাঠানো চিঠিতে আলু উৎপাদনে ব্যবহৃত সার ও কীটনাশক সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয়েছে।ড ফারুক বলেন, “আমাদের দেশে উৎপাদিত আলু যথেষ্ট মানসম্মত, কারণ এ দেশের আবহাওয়া ও মাটি আলু চাষের উপযোগী।”
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয় আলু রফতানিকারকদের একটি সাধারণ নিয়মের আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে, যাতে তারা নিজেরাই চাষী নিয়োগ করে উৎপাদিত ফসলের মান নিয়ন্ত্রণ করতে পারে ও রফতানি অব্যাহত রাখতে পারে।
গত বছর রাশিয়া বাংলাদেশে উৎপন্ন আলুতে ‘ব্রাউন রট‘ নামের এক ধরনের ফাঙ্গাস সনাক্ত করেছিল।ড. ফারুক বলেন, “এ ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতেই স্থানীয় বাজার থেকে নেওয়া ফসল বিদেশে রফতানি করা হবে না। রফতানির জন্য আলু ও অন্যান্য সবজি বিশেষভাবে চাষ করা হবে।”
এগ্রিকালচার এক্সটেনশন বিভাগের সূত্রমতে, এ দেশে প্রতি বছর গড়ে ৮০ লাখ টন আলু উৎপাদিত হয় এবং দেশের চাহিদা ৫০ লাখ টনের চেয়ে কিছুটা বেশি।
বাংলাদেশ ২০১৩–১৪ অর্থবছরে রাশিয়া ও মালয়েশিয়ায় আলু রফতানি করে আয় করেছে ৩৪ মিলিয়ন ডলার।
আলুর ক্রেতা দেশের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে মালয়েশিয়া। গত অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ১৩ মিলিয়ন ডলারের আলু কেনে দেশটি। এরপরই আছে রাশিয়া। ওই সময় বাংলাদেশ থেকে ৯০ লাখ ডলারের আলু কিনেছিল তারা।
গত বছর কৃষকরা আলুর ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার পর থেকেই সরকার আলু রফতানিতে গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।