শেরপুর সীমান্তে গোপন বৈঠক : উলফার কাছ থেকে অস্ত্র কিনছে জামায়াত!
পরেশ বড়ুয়ার নেতৃত্বাধীন উলফার কাছ থেকে অস্ত্র কিনছে জামায়াত। এ জন্য চুক্তি করতে সম্প্রতি (১৫ অক্টোবর) বাংলাদেশের শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার মধুটিলা ইকোপার্কে একটি গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে জামায়াত ও বিএনপির কিছু নেতা এবং উলফার পক্ষ থেকে তাদের দু’জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। ওই সময় জামায়াতের নেতারা, ছোট অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং এ জন্য উলফা প্রতিনিধিদের কাছে ২০ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) এর এক প্রতিবেদনের উদ্বৃতি দিয়ে ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র খবরে ওই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
৭ নভেম্বর পত্রিকাটির অনলাইন ভার্সনে প্রকাশিত ওই খবর বলা হয়, আসামের পাটগাঁওয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গৌহাটি ফ্রন্টিয়ারের সদর দপ্তরে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বৈঠকে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করে এনআইএ। ওই বৈঠকে বিএসএফ, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ), সেনাবাহিনী, আসাম পুলিশ, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো ও আসামের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এনআইএর ওই প্রতিবেদনের একটি কপি হাতে পেয়েছে বলে দাবি করে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ উলফা ও জামায়াতের মধ্যে অস্ত্র কেনাবেচার খবরের বিষয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, এরা সব পরস্পরের ভাই-বোনের মতো। এসব সংগঠনের পার্থক্য শুধু নামে। কিন্তু তারা একে অন্যকে সহযোগিতা করে। একইদিন টাইমস অব ইন্ডিয়ার অন্য এক খবরে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গিদের তৎপরতা তদন্তকারী সংস্থা এনআইএর কর্মকর্তারা বাংলাদেশে যাবেন। এ ব্যাপারে তাঁরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত সম্মতির অপেক্ষায় আছেন। বিষয়টি তদারক করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে আগামী ৯ অথবা ১০ নভেম্বর এনআইএর কর্মকর্তারা বাংলাদেশে যেতে চান। তবে সব পদক্ষেপই নেওয়া হবে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতে।