দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস সারাদেশে নৌযান শ্রমিক ধর্মঘট প্রত্যাহার
চট্টগ্রামসহ সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের নৌযান শ্রমিক ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বন্দর রেস্ট হাউস মিলনায়তনে রবিবার সন্ধ্যায় নৌমন্ত্রীর নির্দেশনায় পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শফিকুল ইসলামের সঙ্গে শ্রমিকদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শ্রমিকদের সাত দফা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে এ সিদ্ধান্ত নেন শ্রমিকরা।
ডাকাতি ও অপহরণের প্রতিবাদে লাইটারেজ জাহাজ ও নৌযান শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকরা সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাক দেয়। ধর্মঘটের কারণে শনিবার সকাল থেকে দেশের নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে সব ধরনের পণ্য খালাস ও পরিবহন থেকে বিরত ছিলেন সংগঠনের লক্ষাধিক শ্রমিক।
নৌযান শ্রমিদের ধর্মঘটে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় চট্টগ্রাম এসে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, যেসব এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটছে সেসব এলাকা চিহ্নিত করে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। এ লক্ষ্যে আগামী ১০ দিনের মধ্যে নৌপথের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক আহবান করা হবে।
তিনি আরও বলেন, নদী পথের নিরাপত্তায় নৌপুলিশ ও কোস্ট গার্ড যৌথভাবে কাজ করে যাবে। তাদের সহায়তায় প্রয়োজনীয় উপকরণ দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হবে।
বাংলাদেশ লাইটার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন বলেন, বৈঠকে আমাদের পক্ষ থেকে দেওয়া সাত দফা দাবি ডিআইজি কর্তৃক মেনে নেওয়ার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। অথচ দীর্ঘদিনের এ সমস্যা সমাধানে উচ্চ পর্যায়ে অনেক চিঠি দিয়েও কিছু হয়নি। আমরা আশা করি সহসাই পরিস্থিতির সমাধান হবে।
অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রামের ডিআইজি, এসপি, র্যাব, কোস্ট গার্ডের প্রধান, বাংলাদেশ লাইটার শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, লক্ষ্মীপুরের এসপিসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর থেকে কর্ণফুলী-৫ নামে একটি সারবাহী লাইটার জাহাজ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ী নৌবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। জাহাজটি রাত ২টার দিকে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার বাত্তিরখাল নামক স্থানে ডাকাতের কবলে পড়ে।
জাহাজে থাকা ১১ লাইটার শ্রমিকের মধ্যে সাতজনই ওই সময় নিখোঁজ হন।