১০ শিক্ষকের পদত্যাগ, বেগম রোকেয়ার ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পদোন্নতির দাবি জানিয়ে ১০ জন শিক্ষক প্রশাসনিক ও একাডেমিক ১৯টি পদ থেকে আজ রোববার পদত্যাগ করেছেন। এর পরিপেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ একই সঙ্গে পাঁচটি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন হাফিজুর রহমান। সেই সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, গণযোগাযোগ সাংবাদিকতা ও লোকপ্রশাসন বিভাগসহ চারটি পদ থেকে মোরশেদ হোসেন এবং শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট, কলা অনুষদের ডিন এবং বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ তিনটি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সাইদুল হক।
পদত্যাগ করা অন্য শিক্ষকেরা হলেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের তিনজন সহকারী প্রভোস্ট শেখ মাজেদুল হক, সাইদুর রহমান ও তানিয়া তোফাজ এবং ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রফিউল আজম খান, মার্কেটিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জাহিদ হোসেন, ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আলী রায়হান সরকার ও রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তারিকুল ইসলাম। তাঁরা বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। শিক্ষক সমিতির মাধ্যমে শিক্ষকেরা তাঁদের পদত্যাগপত্র জমা দেন।
শিক্ষকদের পদত্যাগের বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল চন্দ্র বর্মণ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছেন, পদোন্নতি পাওয়া শিক্ষকদের অর্জিত সময় থেকে প্রাপ্য সুবিধাদিসহ পদমর্যাদা না দেওয়ায় এবং উপাচার্যের স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে প্রশাসনিক ও একাডেমিক পদগুলো থেকে শিক্ষকদের পদত্যাগের কারণ।
প্রশাসন থেকে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১টি বিভাগ, ছয়টি অনুষদ, প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর, প্রভোস্ট, সহকারী প্রভোস্ট, ছাত্র উপদেষ্টা, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রশাসকসহ বর্তমানে ৪৩টি প্রশাসনিক পদ রয়েছে। এর মধ্যে ১৯টি পদ থেকে তাঁরা তাঁদের পদত্যাগপত্র জমা দেন।
উপাচার্য এ কে এম নূর-উন-নবী প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষকদের পদোন্নতির বিষয়ে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে পারব না। ইতিমধ্যে ৪২তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৭ জন শিক্ষকের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। আমি শিক্ষকদের বলেছি, বিষয়টি সহজভাবে নিয়ে আমাকে সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে।’ তিনি আরও বলেন, তাঁদের অসহযোগিতার মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোরশেদ উল আলম বলেন, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ৪, ৫ ও ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় ভর্তি পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে।