শেরপুরে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় কামারুজ্জামানের রায় ঘিরে নিরাপত্তা বলয় গড়ার অঙ্গীকার
যুদ্ধাপরাধের মামলায় চূড়ান্ত বিচারে জামায়াতের সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরকে সামনে রেখে তার নিজ এলাকা শেরপুরে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায়। ১০ নভেম্বর সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ রজনীগন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় ওই অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়। সভায় হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, যুদ্ধাপরাধের মামলায় কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরের মুহূর্তে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি বা নাশকতারোধে শেরপুরে আইন-শৃঙ্খলার সাথে সম্পৃক্ত সকল বিভাগকে শতভাগ সতর্কাবস্থায় থাকতে হবে। এজন্য জনপ্রতিনিধিসহ সকল দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান ও সচেতন নাগরিকসহ ব্যাপক জনসচেতনতার উপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকীর হোসেনের সভাপতিত্বে ওই সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ মেহেদুল করিম, শেরপুর পৌরসভার মেয়র হুমায়ুন কবীর রুমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট অঞ্জন চন্দ্র পাল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ছানুয়ার হোসেন ছানু, শ্রীবরদী উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন খোকা, নকলা উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুব আলী চৌধুরী, নালিতাবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম মোখলেছুর রহমান রিপন, সিভিল সার্জন ডাঃ আনোয়ার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াদুদ অদু, প্রেসক্লাব সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার, ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাঈম, চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রকাশ দত্ত, কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী, মোয়াজ্জেম হোসেন সুরুজ, সাংবাদিক দেবাশীষ ভট্টাচার্য প্রমুখ।
সভাটি জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির নিয়মিত মাসিক সভা হলেও যুদ্ধাপরাধের মামলায় কামারুজ্জামানের চূড়ান্ত রায়ে ফাঁসি এবং তা সহসাই কার্যকর উপলক্ষ্যে সম্ভাব্য পরিস্থিতি ও প্রস্তুতির বিষয়টিই প্রাধান্য পায়। সভায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও নাশকতার আশঙ্কায় সোহাগপুর বিধবাপল্লীসহ শেরপুরে অবস্থানরত রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নজরদারী বাড়ানোসহ জনসচেতনতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
সভায় পূর্ববর্তী সভার কার্যবিবরণী পাঠ করেন সহকারী কমিশনার সামছুদ্দিন মুন্না। কার্যবিবরণীর তুলনামূলক চিত্রে দেখা যায়, সেপ্টেম্বর মাসে জেলার ৫টি উপজেলায় ডাকাতি-দস্যুতা, দাঙ্গা ব্যতীত দু’টি খুনসহ ১শ ১৮টি অপরাধ সংঘটিত হলেও অক্টোবর মাসে একটি খুনসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হয়েছে ১শ ১৯টি।