সন্দ্বীপে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার
সন্দ্বীপে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২৫ মামলার পলাতক আসামি মোশারফ বাহিনীর প্রধান মোশাররফ হোসেন (৩৩) নিহত হয়েছেন। র্যাবের দাবি মোশাররফ হোসেন ওই অঞ্চলের শীর্ষ সন্ত্রাসী, ইয়াবা ও অস্ত্র ব্যবসায়ী।
তার আস্তানা থেকে এ সময় ৩০টি দেশী-বিদেশী অস্ত্র, ৫৪ রাউন্ড গুলি ও অস্ত্র তৈরির বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
মোশাররফ হোসেনের নিজ বাড়ি সংলগ্ন জঙ্গল বাড়িতে সোমবার বিকেল ৩টায় বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে মো. দিলদার (২২), মেহেদী হাসান সাকিল (২০), ইয়াসিন আরাফাত (১৯), মো. ইসলাম ওরফে হেলাল (৪২) ও মো. শাহীনকে (৩২) গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী মোশাররফ হোসেন প্রশাসনের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। দীর্ঘদিন ধরে তাকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছিল।’
মোশাররফ হোসেনের আটক অভিযানের বর্ণনা দেন র্যাব-৭ এর মিডিয়া অফিসার এএসপি (সহকারী পুলিশ সুপার) মো. সোহেল মাহমুদ। মুস্তাফিজুর রহমান ডিগ্রি কলেজ মাঠে সোমবার বিকেল ৪টায় এ সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এএসপি সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘সন্দ্বীপের কুখ্যাত ডাকাত, জলদস্যু ও ২৫ মামলার আসামি ছিদ্দীক আহম্মদের ছেলে মোশারফ বাহিনীর প্রধান মোশাররফ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে সন্দ্বীপে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘র্যাব-৭ গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, মোশারফ বাহিনী অস্ত্রসহ মুস্তাফিজুর রহমান ডিগ্রি কলেজের সামনের একটি দোকানে অবস্থান করছে। র্যাব সেখানে অভিযান চালায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মোশাররফ এবং তার সহযোগীরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তারা র্যাবের হাতে ধরা পড়ে।’
এএসপি সোহেল মাহমুদ আরও বলেন, ‘মোশাররফ পরবর্তী সময়ে র্যাবের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অস্ত্র উদ্ধারে তাকে নিয়ে জঙ্গল বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সেখানে পৌঁছামাত্র মোশাররফের সহযোগীরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। র্যাবও আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। প্রায় ১০ মিনিট গুলি বিনিময়ের পর মোশাররফ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সে তার সহযোগীদের গুলিতে নিহত হয়।’
তিনি বলেন, ‘র্যাব ঘটনাস্থল থেকে ৩০টি দেশী-বিদেশী অস্ত্র, ৪৯ রাউন্ড গুলি এবং অস্ত্র তৈরির বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার করে।’
উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- একটি বিদেশী পিস্তল, দুটি দোনালা রাইফেল, ১৪টি একনলা দেশী ও বিদেশী রাইফেল, ছয়টি ওয়ানশুটার রাইফেল, ছয়টি থ্রি-কোয়াটার গান, একটি পাইপ গান ও অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম।
সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিজন বড়ুয়া বলেন, ‘সোমবার সকালে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হারামিয়া এলাকা থেকে ২৫ মামলার আসামি ও শীর্ষ সন্ত্রাসী মোশাররফ হোসেনকে আটক করা হয়েছিল। বিকেলে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সে নিহত হয় বলে শুনেছি। তবে এ বিষয়ে এখনও আমাদের কাছে কেউ আসেননি কিংবা মামলা হয়নি।’