শ্রীবরদীতে আ‘লীগের দু‘গ্র“পের একই স্থানে সভা আহবানকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ টিয়ারসেল নিক্ষেপ, আহত ৩০
মঙ্গলবার বিকালে শ্রীবরদীতে যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে একই স্থানে আওয়ামীলীগের বিবাদমান দু‘গ্র“পের সমাবেশ কে কেন্দ্র করে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে টিয়ার সেল নিপে করেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পৌর শহরে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষ আতঙ্কে বাজার এলাকা ছেড়েছে।
জানা গেছে, গত ২০ সেপ্টেম্বর শেরপুর জেলা কমিটি শ্রীবরদী উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করে এবং ১০ অক্টোবর আশরাফ হোসেন খোকাকে আহ্বায়ক, এম এ মতিন ও মোতাহারুল ইসলাম লিটনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ২৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে। কিন্তু এমপি ফজলুল হক চাঁন তাঁর নির্বাচনে কাজ করেনি এমন লোকদের আহবায়ক কমিটিতে অন্তর্ভক্ত করায় এ কমিটিকে মেনে নিতে পারেনি। এনিয়ে বেশ কিছুদিন যাবত দু’প মিছিল পাল্টা মিছিল ও সমাবেশ করে আসছে। এক প আর এক পকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করেছে আসছে।
মঙ্গলবার বিকালে যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলে শ্রীবরদী কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে সমাবেশ আহবান করে। উভয় গ্র“প একই স্থানে সমাবেশ করার চেষ্টা করলে মুখোমুখি সংঘর্ষ বেধে যায়। উভয় গ্র“পের লোকজন রামদা লাঠি নিয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করলে সমস্ত বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দোকান পাট বন্ধ হয়ে যায়। মুহুর্মুহ সংঘর্ষে এমপি ফজলুল হক চাঁনের পরে জেলা আ‘লীগ সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল্লাহ ছালেহ (৬২), মুক্তিযোদ্ধা হামিদুর রহমান (৫৮), আজিজুর রহমান (২২), জুয়েল আকন্দ (২৮), রোমান (১৮), ও আহবায়ক আশরাফ হোসেন খোকার ছেলে শাকিল (৩২), রমজান আলী (২৫), আমিনুর (৩০), মেরাজ উদ্দিন (২৫), উজ্জল (৪০), আজাদ ওরফে খাটু (৩৫), রোমান (২৮), আনোয়ার (৪০) সহ অন্তত ৩০ জন গুরুত্বর আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার সেল নিপে করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পৌর শহরে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নেতাকর্মী ও বহিরাগতদের বাজার এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসন থেকে পৌর শহরে মাইকিং করা হচ্ছে।