আত্মবিশ্বাসী নাদিয়া
‘মাত্র চার মাস আগেও আমি ছিলাম আমার অন্য বন্ধুদের মতো। একেবারে স্বাধীন। যখন যেখানে খুশি চলে যেতাম। কিন্তু এখন কি আর তা পারব? চার মাসে আমার জীবন একেবারে বদলে গেছে।’ বললেন নাদিয়া আফরিন। এবার ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তিনি। গত রোববার বিকেলে তাঁর সঙ্গে কথা হলো ঢাকার বনানীতে ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতার এবারের ক্যাম্পে।
নাদিয়া ছিলেন ঢাকার হারম্যান মেইনার কলেজের ছাত্রী। গত বছর এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে গোল্ডেন এ+ পেয়েছেন। এবার বিবিএ পড়বেন।
নাদিয়ার কাছ থেকে শুনব ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতার শুরুর দিকের কথা। নাদিয়া বলেন, ‘শোবিজে কাজ করব, এমন ইচ্ছা তো সব সময়ই ছিল। কিন্তু মা-বাবা চাইতেন, আগে পড়াশোনা, তারপর বাকি সব। শেষে মাকে রাজি করিয়ে এক বন্ধুর সহযোগিতা নিয়ে এই প্রতিযোগিতায় নাম নিবন্ধন করেছি।’
নাদিয়ার খুব পছন্দ অপি করিম। নাদিয়া বলেন, ‘অপি আপু অভিনয় আর মডেলিংয়ে যেমন সফল, তেমনি সফল পড়াশোনায়। তাঁর ব্যক্তিত্ব আমাকে বরাবরই মুগ্ধ করেছে। তিনিই আমার অনুপ্রেরণা।’
তিন বোনের মধ্যে নাদিয়া দ্বিতীয়। বাবা শেখ গোলাম নবী ব্যবসায়ী, মা শাহানা আফরোজ গৃহিণী। মেয়েকে নিয়ে মা বলেন, ‘নাদিয়া ছোটবেলা থেকেই খুব শৌখিন। সময়ের ব্যাপারে খুব সচেতন। নিজেকে আলাদা করে উপস্থাপনের একটা চেষ্টা ছিল ওর মধ্যে।’ বাবা বলেন, ‘আমরা মধ্যবিত্ত পরিবার। আমাদের প্রধান শক্তি পড়াশোনা। এটা ছাড়া ওপরে উঠার মতো বিকল্প পথ আমাদের নেই। তাই তো সবকিছুর পরও পড়াশোনার ওপর বেশি জোর দিচ্ছি।’
নাদিয়ার ছোট বোন মিথিলা মিরপুর পুলিশ স্মৃতি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। নাদিয়াও এই স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। মিথিলা বলে, ‘আমি জানতাম, আপু কিছু একটা করবে। কারণ, ও খুব মেধাবী। আপুর সাফল্যে আমরা সবাই খুব খুশি।’
কলেজের শিক্ষকদের কাছেও নাদিয়া খুব প্রিয়। কলেজের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক শামছুন নাহার হক বলেন, ‘কলেজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নাদিয়া নাচ করত। ওর মধ্যে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস আছে। কলেজের অন্যদের তুলনায় কিছু দিক থেকে ও ছিল একদম আলাদা। ছাত্রী হিসেবে ও যেমন ভালো, আশা করছি, অভিনয়শিল্পী হিসেবে ও অনেক দূর যাবে।’
নাদিয়া নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে কী ভাবছেন? জানান, তিনি নিজেকে একজন সফল অভিনয়শিল্পী হিসেবে দেখতে চান। এ ব্যাপারে শতভাগ আত্মবিশ্বাসী তিনি।