পুত্রবধূর রহস্যজনক মৃত্যুতে সাবেক এমপি টিপু সুলতানের নামে মামলা, ছেলে গ্রেফতার
এদিকে ডা. শামারুখ মেহজাবিনকে হত্যা করা হয়েছে বলে জোরালোভাবে দাবি করেছেন তার বাবা প্রকৌশলী নূরুল ইসলাম। মেহজাবিনের শ্বশুর একজন সাবেক সংসদ সদস্য ও শাশুড়ি ডাক্তার হওয়ায় ময়নাতদন্ত প্রভাবিত হতে পারে- এমন আশঙ্কায় তিনি মেয়ের সুরতহাল ও পোস্টমর্টেম একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে করাতে চান।
বৃহস্পতিবার রাতে মেহজাবিনের বাবা পিডিবির সাবেক প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, দুপুরে মেহজাবিনের মৃত্যুর পর পর পুলিশ তার স্বামী হুমায়ুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। রাতে এ ঘটনায় মামলা হওয়ায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার দেখিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ধানমন্ডি থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিস।
বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে অচেতন অবস্থায় ধানমন্ডির সেন্ট্রাল হাসপাতালে আনা হয় মেহজাবিনকে। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে টিপু সুলতানের পরিবারের পক্ষে দাবি করা হলেও মেহজাবিনের পরিবারের দাবি, তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
টিপু সুলতানের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, দুপুরে ধানমন্ডির ছয় নম্বর রোডের ১৪ নম্বর বাড়ির বাথরুমের গ্রিলের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মেহজাবিনকে উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে মেহজাবিনকে সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, মেহজাবিনের বাবা বলেন, তার বেয়াই (সাবেক সংসদ সদস্য টিপু সুলতান) দুপুর ২টা ২০ মিনিটে তাকে ফোন দিয়ে বলেন যে মেহজাবিনকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে আপনি তাড়াতাড়ি আসেন।
তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতেও মেয়ের সঙ্গে তার ৩২ মিনিট কথা হয়েছে। মেহজাবিন বিসিএস পরীক্ষা দিতে চাইলেও শ্বশুরালয় থেকে তার পড়াশোনার ব্যাপারে বাধা দেয়। এমনকি তাকে বিসিএসের ফর্মও পূরণ করতে দেওয়া হয়নি।
তিনি আরও দাবি করেন, বিয়ের আগে জানানো হয় যে হুমায়ন সুলতান ব্যারিস্টার। কিন্তু পরে জানা যায়, তিনি ওকালতিও পাস করেননি। কিন্তু তারপরও মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তিনি বিষয়টি মেনে নেন। তবে টিপু সুলতান দাবি করেন, মেহজাবিনের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিলো বাবা-মেয়ের মতো।
এটি হত্যাকাণ্ড কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা যদি হত্যাকাণ্ড হয় ও এতে যদি তার ছেলে জড়িত থাকে, তবে আইন অনুযায়ী যে শাস্তি হয় তিনি তাই মেনে নেবেন।
জানা গেছে, হুমায়ন সুলতানের মা জিয়াসমিন আক্তার হলিফ্যামিলি হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক। তিনিই মেহজাবিনকে পছন্দ করে ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেন।
– সুত্রঃ প্রিয়.কম