তদন্তে উঠে এল আইসিসি–প্রধান শ্রীনিবাসনের নামও

এন শ্রীনিবাসন। ফাইল ছবিআইপিএলের স্পট ফিক্সিং তদন্তে গঠিত স্বাধীন কমিশন মুদগাল কমিটির তদন্তের প্রতিবেদন অবশেষে আলোর মুখ দেখতে চলেছে। আজ ভারতের শীর্ষ আদালতের একটি বেঞ্চে শুনানি চলাকালে বেটিং–কাণ্ডে জড়িত কয়েকজনের নাম এসেছে। এদের মধ্যে ক্রিকেট প্রশাসনের সঙ্গে জড়িত আছেন চারজন। আছেন তিনজন ক্রিকেটারও। তবে আদালতের নির্দেশে সেই তিন ক্রিকেটারের নাম সংবাদমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়নি।
যাঁদের নাম এসেছে এঁদের মধ্যে সবচেয়ে বড় চমক অবশ্যই এন শ্রীনিবাসন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধানের পদ থেকে আপাতত দূরে সরে থাকতে হলেও শ্রীনি এখন বিশ্ব ক্রিকেটেরই দণ্ডমুণ্ডের কর্তা। আইসিসি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, আর নতুন গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতির বদলে আইসিসির সব ক্ষমতা এখন চেয়ারম্যানের হাতে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরগুলোয় এটা অবশ্য স্পষ্ট নয়, মুদগাল কমিটির রিপোর্টে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে শ্রীনিবাসনের ভূমিকা কতটা ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
শুনানি মাত্র ২০ মিনিটের মতো হয়েছে। পরবর্তী শুনানি হবে ২৪ নভেম্বর। অভিযুক্ত চারজনকে মামলার নথি পাঠানো হবে যেন তাঁরা পরবর্তী শুনানির জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেন। তবে মুদগাল কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে কোনো আপত্তি থাকলে সেটি চার দিনের মধ্যে জানাতে হবে।
শ্রীনির জন্য বিপদের কারণ হলো, ২০১৩ আইপিএল স্পট-ফিক্সিং কেলেঙ্কারির অন্যতম ‘হোতা’ বলে ধারণা করা হচ্ছে গুরুনাথ মায়াপ্পনকে। আজ আদালত যে চারজনের নাম বলেছেন, এঁদের মধ্যে মায়াপ্পনও আছেন। বাকি দুজন হলেন আইপিএলের প্রধান নির্বাহী সুন্দর রমন এবং রাজস্থান রয়্যালসের মালিক রাজ কুন্দ্রা। মায়াপ্পন শ্রীনির জামাই, চেন্নাই সুপার কিংসের অন্যতম কর্ণধার। এতে করে আইপিএলের অন্যতম সফল দল, মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বাধীন চেন্নাইয়ের ভবিষ্যতের ওপর অনিশ্চয়তার অন্ধকার ছায়া নেমে এল। রাজস্থান রয়্যালসের ওপর।
শুনানিতে যে তিনজনের নাম এসেছে, এদের পাশাপাশি আরও ছয় সিনিয়র ক্রিকেটারের নামও মুদগাল কমিটির রিপোর্টে আছে। আপাতত তাদের কারোরই নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। ২৪ নভেম্বরের শুনানিতে আরও বিস্তারিত তথ্য উঠে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend