তৃতীয় দিন শেষে ১৫২ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ
চট্রগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের চেয়ে ১২৯ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং শুরু করা বাংলাদেশ তৃতীয় দিন শেষে বিনা উইকেটে ২৩ রান সংগ্রহ করেছে। ফলে জিম্বাবুয়ের চেয়ে ১৫২ রানে এগিয়ে স্বাগতিকরা। হাতে রয়েছে পুরো ১০টি উইকেট। তামিম ইকবাল ৮ ও ইমরুল কায়েস ১১ রানে অপরাজিত থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছেন।
এর আগে বাংলাদেশের করা ৫০৩ রানের জবাবে ৩৭৪ রানে গুঁটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।
আগের দিনের ১ উইকেটে ১১৩ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেন সিকান্দার রাজা ও হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। দলীয় ১৬৯ রানে এ জুটি ভাঙেন পেসার শফিউল ইসলাম। ৮১ রান করে শফিউল ইসলামের স্ট্রেইট বলে এলবিডব্লুউ হন তিনি। তার আগে মাসাকাদজা-রাজা জুটি যোগ করেন ১৬০ রান। যা জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি।
মাসাকাদজা সাজঘরে ফেরার পর জ্বলে ওঠেন বাংলাদেশ বোলাররা। লাঞ্চ বিরতির আগেই তুলে নেন আরো দুই উইকেট। জুবায়ের হোসেন এক ওভারেই তোলেন ব্রেন্ডন টেলর (১) ও সিকান্দার রাজার (৮২) উইকেট।
এর পর চাকাভা ও চিগুম্বুরা মিলে ১১৩ রানের জুটি গড়ে চাপ সামাল দেন। দলীয় ৩২২ রানে চাকাভা (৬২) ফিরে গেলে জিম্বাবুয়ে ইনিংসের ছন্দ পতন ঘটে। চাকাভাকে এলবিডব্লুউর ফাঁদে ফেলেন শফিউল ইসলাম। সাকিব আল হাসান মুতামবামি (২০) উইকেট নেন। তাইজুল ইসলাম ফেরাণ শিঙ্গি মাসাকাদজাকে (০)। এর পর দশম ব্যাটসম্যান হিসেবে জুবায়ের হোসেনের বলে আউট হন জিম্বাবুয়ে ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোরার এলটন চিগুম্বুরা (৮৮)। এর পরই এন মুসায়াঙ্গে (৮) জুবায়ের হোসেনের বলে সাজঘরে ফিরিয়ে নিজের নামে পাঁচ উইকেট লিখিয়ে নেন তরুণ জুবায়ের হোসেন। জিম্বাবুয়ে গুঁটিয়ে যায় ৩৭৪ রানে।
এর আগে তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের জোড়া শতকে চট্রগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫০৩ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। এটিই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর। এছাড়া চট্রগ্রামে বাংলাদেশের সেরা দলীয় ইনিংস এটি।
টেস্টের প্রথম দিন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের জোড়া শতকে ২ উইকেটে ৩০৩ রান তোলে বাংলাদেশ। তামিম ১০৯ ও ইমরুল করেন ১৩০ রান।