সস্ত্রীক পালিয়েছেন সাবেক এমপি টিপু সুলতান
ধানমণ্ডি থানার এসআই মর্ম সিংহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে সুমীর বাবা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে সুমীর স্বামী হুমায়ুন সুলতান সাদাত, শ্বশুর সাবেক এমপি খান টিপু সুলতান এবং শাশুড়ি ডা. জেসমিন আরা বেগমকে। গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার সাদাতের বিরুদ্ধে ১০ দিন রিমান্ডের আবেদন করে আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাজী শরিফুল ইসলাম জানান, হুমায়ুন সুলতান সাদাতকে ধানমণ্ডি থানা থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার অপর আসামি টিপু সুলতার ও তার স্ত্রীকে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা ধানমণ্ডিতে তাদের বাসায় তালা দিয়ে পালিয়েছেন। তবে তাদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে। লাশের ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার আগ পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছুই বলা যাবে না। নিহতের গলায় দাগ ছাড়া শরীরের অন্য কোথাও আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ধানমণ্ডির ৬নং রোডের ১৩নং বাসা থেকে সুমীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় যশোর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য খান টিপু সুলতান ও তার স্ত্রী ডাক্তার জেসমিন আরার বিরুদ্ধে পুত্রবধূ শামারুখ মেহজাবিন সুমিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন খান টিপু সুলতান। তিনি দাবি করেন, পুত্রবধূ সুমী আত্মহত্যা করেছে।
নিহত সুমী যশোর শহরের পুরাতন কসবা এলাকার প্রকৌশলী নুরুল ইসলামের মেয়ে। তিনি রাজধানীর হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর যশোরের সাবেক এমপি খান টিপু সুলতানের ছেলে হুমায়ুন সুলতান সাদাবের সঙ্গে শামারুখ মেহজাবিন সুমির বিয়ে হয়।