আবারো রেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে সাকিব
দরকার আর মাত্র ৫টি উইকেট আর ২২ রান। এদিকে জিম্বাবুয়ে টেস্টের আছে এখনো তিনদিন। তিনদিনে এই কোটা পার করতে পারলেই সাকিব পৌঁছে যাবেন আরেকটি রেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে। ছাড়িয়ে যাবেন ভিভিয়ান রিচার্ডস, সুনীল গাভাস্কার, জাভেদ মিয়াঁদাদ, ইয়ান বোথাম, ইমরান খান, কপিল দেব, রিচার্ড হ্যাডলি সবাইকে। মাত্র ৫ উইকেট এবং ২২ রান হলেই আইসিসির বেঁধে দেওয়া মাপকাঠি পেরিয়ে জায়গা নিবেন সবার উপরে।
এই অবস্থায় যে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স সাকিবের, তাতে সেরা অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সের খাতায় ঠাঁই পাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। তিন টেস্টে সাকিবের রান ২৩৪। একটি সেঞ্চুরি এবং হাফ সেঞ্চুরি একটি। উইকেট ১৭টি। তিন টেস্ট ম্যাচ সিরিজের সেরা ছয় অলরাউন্ডারের তালিকায় সাকিবের স্থান চতুর্থ। তিনি পিছনে রয়েছেন মিচেল জনসন, ইয়ান বোথাম ও ইমরান খানের। অস্ট্রেলিয়ার জনসনের রান ২৫৫। সাকিবের ২৩৪। আর মাত্র ২২ রান হলেই ৩ টেস্ট সিরিজের বেঁধে দেওয়া মাপকাঠিতে সবার উপরে উঠে যাবেন। উইকেটের বিচারে অবস্থান যুগ্মভাবে দ্বিতীয়। ইংলিশ লিজেন্ড বোথাম ২১২ রানের পাশাপাশি উইকেট নিয়েছেন ১৭টি। সাকিবের উইকেটও ১৭টি। তার চেয়ে এগিয়ে পাকিস্তানি ইমরান খান। ২১২ রানের পাশে উইকেট ২১টি। তাকে টপকাতে সাকিবের দরকার ৫ উইকেট।
তবে বাংলাদেশ যদি বড় সিরিজ খেলতে পারতো তাহলে হয়তো ব্যাপারটা অনেক আগেই অন্যকিছু হলেও হতে পারতো। আগে ৫-৬ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হলেও এখন তা খুব একটা হয়না। আর বাংলাদেশ পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের খেলাতো দূরে থাক, তিন ম্যাচ টেস্ট খেলেছেই চলতি জিম্বাবুয়ে সিরিজসহ মাত্র তিনটি। আগের দুইটি দেশের বাইরে।