‘এ তো এলাহীকাণ্ড!’
‘এ তো এলাহীকাণ্ড! ঘটনা তো ইতিহাস হয়ে থাকবে!’ রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক ও হনুফা আক্তার রিক্তার বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন দেখে এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অতিথিরা।
বৌভাত উপলক্ষে সংসদ ভবনের এলডি হল এলাকায় বিশাল আয়োজন করেছেন মন্ত্রী। মনিপুরীপাড়া ফটক থেকে এলডি হল পর্যন্ত করা হয়েছে আলোক সজ্জা। অতিথিদের অভ্যর্থনা জানাতে কালো রংয়ের স্যুট পরিহিত ৬৭ বছর বয়সী মন্ত্রীকে সন্ধ্যায় মূল ফটকের পাশেই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকতে ফটক থেকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অতিথিরা। সারি ধরে একের পর এক ভিতরে প্রবেশ করছেন তারা।নিমন্ত্রণ পত্র ছাড়া কাউকে ঢুকতে না দেওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে এসে বিপত্তিতে পড়তে হয়েছে অনেককে।
সোনালী জরির শাড়িতে বৌ
ঘিয়ে রংয়ের সোনালী জরির শাড়ি, সিতাহার, কণ্ঠহার, টিকলি পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন বৌ হনুফা আক্তার রিক্তা। মঞ্চে ওঠার পর তাকে ঘিরে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন আগ্রহীরা।
অফুরন্ত খাবার
অতিথিদের আপ্যায়নের দায়িত্বে থাকা আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কাযনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি আবুল হোসেন জানিয়েছেন, কেউ যেন না খেয়ে না যান সেজন্য প্রচুর খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। আমন্ত্রিতদের বাইরে আরো পাঁচ হাজার মানুষের জন্য খাবার রাখা হয়েছে।
আয়োজকরা জানান, প্রায় ২০ হাজার অতিথি আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেছেন তারা। এলডি হলের পাশে একসঙ্গে আড়াই হাজার লোকের খাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ভিআইপিদের জন্য এলডি হলের ভেতরে দুটি স্থানে ২০টি টেবিল রাখা হয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালসহ আরো কয়েকজন এরইমধ্যে সেখানে হাজির হয়েছেন।
খাবার মেন্যুতে রয়েছে কাচ্চি বিরিয়ানি, মুরগীর রোস্ট ও কোমল পাণীয়। সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু হয়েছে খাওয়া-দাওয়া। খাবারের মধ্যেও রয়েছে তিন ধরনের ব্যবস্থা; সাধারণ, ভিআইপি ও ভিভিআইপি শ্রেণিতে অতিথিদের ভাগ করে রয়েছে খাবারের আয়োজন্।
উপহার নিতে ৬ কাউন্টার
বিবাহোত্তর সংবর্ধনায় উপহার গ্রহণ করতে অনুষ্ঠানস্থলের পাশে প্যান্ডেল করে ৬টি কাউন্টার বসানো হয়েছে। তবে রাত ৮টা পর্যন্ত কাউন্টারগুলোতে তেমন উপহারসামগ্রী জমা হয়নি, কয়েকটি মাত্র উপহারের বাক্স দেখা গেছে।
ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা
বিয়ের অনুষ্ঠানে শতাধিক বরযাত্রীর মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ায় এবারএ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুরো অনুষ্ঠানস্থল ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসিটিভির) আওতায় আনা হয়েছে।
গত ৩১ অক্টোবর কুমিল্লার চান্দিনার মীরাখলা গ্রামে হনুফা আক্তার রিক্তার সঙ্গে বিয়ে হয় রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের, ৬৭ বছর বয়সে অবিবাহিত জীবনের ইতি টেনেছেন যিনি।
২০০০ সালে এসএসসি পাস করা রিক্তার সঙ্গে মন্ত্রীর পরিচয় হয় বছর তিনেক আগে।