আর মাত্র ২ উইকেট…

মাসাকাদজা-রাজা জুটি ভেঙেছেন শুভাগত হোম  ছবি: শামসুল হকক্রমশ উজ্জল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের ‘৩-০’র স্বপ্ন। জিম্বাবুরে বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ‘বাংলাওয়াশ’ সফল করতে বাংলাদেশের প্রয়োজন আর মাত্র ২ উইকেট।
৫ উইকেটে ১৮২ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিরতে যাওয়া জিম্বাবুয়ে বিরতির পর উইকেট হারিয়েছে আরও দুটো। রুবেল, শুভাগত ও জুবায়েরের পাশাপাশি আঘাত হেনেছেন মাহমুদউল্লাহ ও তাইজুল ইসলাম। এই প্রতিবেদন লেখার সময় জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৪১। চট্টগ্রাম টেস্ট জিততে এখনো ২০৮ রান করতে হবে জিম্বাবুইয়ানদের।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম আঘাত হানেন মাহমুদউল্লাহ। তাঁর বলে এলবি’র ফাঁদে পড়েন ক্রেইগ আরভিন। এর কিছুক্ষণ পরেই তাইজুলের দারুণ এক বলে এলবিডাব্লিউ হন মুতুমবামি।
জিম্বাবুয়ের প্রত্যাশা হয়ে এই মুহূর্তে উইকেটে আছেন রেগিস চাকাভা। তাঁর সংগ্রহ ৭০ রান। মুতুমবামির বিদায়ের পর চাখাভাকে সঙ্গ দিতে উইকেটে এসেছেন তিনাশে পানিয়াঙ্গারা।
এই চাকাভা অবশ্য এই মুহূর্তে সাজঘরে থাকতে পারতেন। কিন্তু সাকিব আল হাসানের বলে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিম তাঁর ব্যাটের কানায় লেগে ওঠা ক্যাচটি ধরতে না পারাতেই তিনি এখনো মাঠে। চাকাভা অবশ্য নিজেকে ভাগ্যবান দাবি করতেই পারেন। জুবায়েরের বলে আম্পায়ার তাঁর বিরুদ্ধে আউটের সিদ্ধান্তও দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই যাত্রা রিভিউ এস্তেমাল করে বেঁচে যান ওই চাকাভা। রিভিউ-প্রযুক্তির সুফল পেয়েছেন ক্রেইগ আরভিনও। শুভাগত হোমের বলে তাঁর বিরুদ্ধে আম্পায়ারের একটি সিদ্ধান্তও বাতিল হয়ে যায় ডিআরএস পদ্ধতির গুণে।
সকালে শুভাগত হোম ভেঙে দেন মাসাকাদজা ও সিকান্দার রাজার মধ্যে গড়ে ওঠা ৯৩ রানের জুটিটি। ব্যক্তিগত ৩৮ রানে উউকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দেন মাসাকাদজা অপ্রয়োজনীয় এক রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে। তাঁর সুইপটি উইকেটের পেছনে না গিয়ে শূন্যে ভেসে উঠলে মুশফিকের সেই ক্যাচ একটু দৌড়ে এসে লুফে নিতে কোনো সমস্যাই হয়নি। শুভাগত ফিরিয়েছেন সিকান্দার রাজাকেও। মাসাকাদজা আউট হওয়ার কিছুক্ষণ বাদেই (দলীয় ১১৬ রানের মাথায়) শুভাগত’র বলেই তাইজুলকে ক্যাচ দেন রাজা। জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংসে এই রাজার ব্যাট থেকেই এখনো পর্যন্ত এসেছে সর্বোচ্চ ৬৫ রান। রাজার বিদায় তাই জিম্বাবু​ইয়ানদের জন্য বড় এক ধাক্কাই। জিম্বাবুয়ের জন্য আরও একটি ধাক্কা ছিল অধিনায়ক টেলরের বিদায়। পুরো সিরিজে যারপরনাই ব্যর্থ টেলর আজ জ্বলে উঠেবেন—এমন প্রত্যাশাটা অমূলক ছিল না। কিন্তু অফস্টাম্পের বাইরে জুবায়েরের একটি ঝুলিয়ে দেওয়া বলে ফ্ল্যাশ খেলতে গিয়ে টেলর ধরা পড়েন সাকিব আল হাসানের হাতে। জুবায়ের এর তুলে নেন চিগুম্বুরার উইকেটটিও। তাঁর দারুণ গুগলিতে বিভ্রান্ত হয়ে চিগুম্বুরা স্লিপে ক্যাচ দেন ইমরুল কায়েসকে। ইমরুলের ক্যাচটি কিন্তু ছিল দুর্দান্ত। ওঠা আদৌ ক্যাচ ছিল নাকি ইমরুল মাটি থেকে বল কুড়িয়েছেন—এমন একটি সন্দেহের মুখে তৃতীয় আম্পায়ারের দ্বারস্থ হতে হয়েছিল। তৃতীয় নয়নে অবশ্য ক্যাচটিতে কোনো খুঁত খুঁজে পাওয়া যায়নি।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend