ছাত্রলীগ কর্মীদের রাত জেগেও পড়ালেখা করতে বলেছিলাম: এইচ টি ইমাম
নিয়মিত পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রলীগ কর্মীদের রাত জেগেও পড়ালেখা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম।
সোমবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রতি পাবলিক সার্ভিস পরীক্ষা ও সরকারি চাকুরিতে নিয়োগ প্রসঙ্গে সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের এক সভায় মন্তব্য করে বিতর্ক সৃষ্টি করে বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক বলেন, সরকারি চাকরিতে মেধাবীরাই আসবে।
তিনি বলেন, আমি সুস্পষ্টভাবে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বলেছি, ভালোভাবে পড়াশোনা করতে। ভালোভাবে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যোগ্যতাসম্পন্ন হলে চাকরি হবে। তাদের যোগ্যতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনে আমি কোচিং করার কথাও বলেছি। স্টাডি গ্রুপ করে পড়াশোনা করার কথা বলেছি। রাত জেগে পড়াশোনা করতে বলেছি।
তিনি বলেছেন, কীভাবে সালাম দিতে হয়, কীভাবে রুমে প্রবেশ করতে হয়— আমি ভাইভাতে দেখব বলে এ সব বুঝিয়েছি। আমি প্রশাসনে ছিলাম। আমি প্রশিক্ষণের কথা বলেছি। কিন্তু আমার বক্তব্য খণ্ডিতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। তাহলে কোচিং কোথায় করাবেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে এইচ টি ইমাম বলেন, কোচিং যে কোনো জায়গাতেই করানো যেতে পারে। আমাদের ধানমন্ডি কার্যালয়ের তিনতলায় জায়গা আছে। সেখানেও করানো যেতে পারে।
এইচ টি ইমাম বলেন, ইতিমধ্যে বিভিন্ন সময়ে যারা নিয়োগ পেয়েছেন তারা মেধাবী। আপনারা যাচাই করে দেখুন, অতীতে যারা নিয়োগ পেয়েছিল তাদের মধ্যে কয়জন রাজনীতি করেছিল।
এইচ টি ইমাম আরো বলেন, যারা ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছেন, জনরোষের ভয়ে গর্তে ঢুকে পড়েছেন, তারাই এখন আমার বক্তব্য বিকৃতভাবে ব্যাখ্যা করে, মিথ্যাচার করে নিজেদের অপকর্ম ঢাকার চেষ্টা করছেন। অতীতের মতো তারা আবারও ব্যর্থ হবেন।
এর আগে গত রোববার বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে এইচটি ইমাম দাবি করেন, আমার মন্তব্যের অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে।
কোন কোন মহল এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ধুম্রজাল সৃষ্টির চেষ্টা করছে এবং তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এই বিতর্ক নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেশ অনুযায়ী আগামিকাল (সোমবার) এক সংবাদ সম্মেলনে আমার বক্তব্য বিশদভাবে তুলে ধরবো।
প্রসঙ্গত, গত ১২ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এইচটি ইমাম নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, বিসিএসে তোমরা লিখিত পরীক্ষাটা ভালো করে দাও, বাকি ভাইভা পরীক্ষাটা আমরা দেখবো। আমি তোমাদের পাশে দাঁড়াব। দরকার হলে কোচিংয়ে পড়াবো। তোমাদের পাশে দাঁড়ানোটা আমাদের কর্তব্য।
সেসময় তিনি বলেন, মেধাবীরাই ছাত্র রাজনীতি করে এবং তারাই দেশকে নেতৃত্ব দেয়। তোমাদের হাতেই রয়েছে দেশের ভবিষ্যৎ। আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন হিসেবে তোমাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের উচিৎ।