১০ সেকেন্ডের চুম্বনে ৮ কোটি ব্যাকটেরিয়া!
সম্প্রতি ডাচ বিজ্ঞানীদের গবেষণা পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, মাত্র ১০ সেকেন্ডের চুম্বনে ৮ কোটি ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়তে পারে মানুষের শরীরে। বিজ্ঞানীরা ২১ প্রেমিকযুগলের চুম্বন আচরণ পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় তারা খুঁজে পান, যেসব প্রেমিকযুগল দিনে ৯ বারের বেশি চুম্বনে মিলিত হয়, তাদের মধ্যে বিশালসংখ্যক ব্যাকটেরিয়া ছড়ানোর ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে।
নেদারল্যান্ডস অর্গানাইজেশন ফর অ্যাপ্লাইড সায়েন্টিফিক রিসার্চ বা টিএনওর একদল গবেষক এ গবেষণা পরিচালনা করেন।
বিজ্ঞানীদের দাবি, মানুষের মুখে অন্তত ৭০০ প্রকারের ব্যাকটেরিয়া থাকে। এর মধ্যে অনেক ব্যাকটেরিয়া একজন থেকে অন্যজনের শরীরে স্থানান্তর হতে পারে সহজেই।
নেদারল্যান্ডস অর্গানাইজেশন ফর অ্যাপ্লাইড সায়েন্টিফিক রিসার্চ বা টিএনওর একদল গবেষক এ গবেষণা পরিচালনা করেন। গবেষণায় ২১ প্রেমিকযুগলের চুম্বনের অভ্যাস ও এর ধরন, দিনে কতবার তারা চুম্বন করেন, গত বছর তারা একে অপরকে কতবার চুম্বন করেছে, সর্বশেষ চুম্বন কবে করেছেন ইত্যাদি বিষয়ে তাদের প্রশ্ন করা হয়।
এরপর স্বেচ্ছাসেবক এ প্রেমিকযুগলদের ১০ সেকেন্ড চুম্বনে অংশ নেওয়ার আগে ও পরে তাদের মুখ ও থুতু থেকে কিছু ব্যাকটেরিয়ার নমুনা সংগ্রহ করেন বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে এক প্রেমিকযুগলের প্রথমে চুম্বনে বেশ কিছু মারাত্মক ব্যাকটেরিয়া চিহ্নিত করেন তারা। এগুলো ক্ষতিকর মদে থাকা ব্যাকটেরিয়ার চেয়েও ক্ষমতাধর ও শক্তিকারক।
ওই যুগলের ১০ সেকেন্ডের দ্বিতীয় চুম্বনে বিজ্ঞানীরা একজন থেকে আরেকজনের মধ্যে ৮ কোটি ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়ার মাত্রা নির্ণয় করেন। চুম্বনের পর দ্রুতই থুতু ফেললেও এসব ব্যাকটেরিয়ার অবস্থা পরিবর্তন হয় না। এমনকি মুখের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়া আরো সুসংহত হয়।
গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক রিমোকি কোরট বলেন, ‘অতি অল্প সময়ে বিশাল পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া ছড়ানোর জন্য ফ্রেঞ্চ চুম্বন একটি বড় উদাহরণ। তবে সব ধরনের ব্যাকটেরিয়ায় একে অন্যের মাঝে স্থানান্তরিত হয় না। বেশ কিছু ব্যাকটেরিয়া আছে, যারা দ্রুত এক স্থান থেকে অন্যত্র স্থানান্তরিত হতে পারে সহজেই।’ তবে এ বিষয়ে আরো গবেষণা করার কথাও তিনি জানান।
তথসূত্র: বিবিসি অনলাইন