ঢাকায় ২৭ ডিসেম্বর হেফাজতের ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন
আগামী ২৭ ডিসেম্বর ঢাকায় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন ডেকেছেন হেফাজতে ইসলামের আমীর ও কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের (বেফাক) চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরী আহ্বায়ক মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমীর নেতৃত্বে সোমবার বিকেলে ঢাকা থেকে একটি প্রতিনিধি দল চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসায় আহমদ শফীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
হেফাজতে ইসলাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানায়।
আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেন, ‘মুসলমানদের ইমান-আকিদা হেফাজতের আন্দোলনে আলিম সমাজকে আজীবন অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হবে। নবীর ওয়ারিস ওলামাদের প্রতি এটা মহান আল্লাহর অর্পিত দায়িত্ব। কে কী বলল, ইসলামের দুশমনেরা কখন কোন উপায়ে হামলা করল, ইমানদারের জানমালের কীরূপ ক্ষতি সাধন করল সেসবের দিকে তাকিয়ে দায়িত্ব পালনে শিথিলতার কোনো অবকাশ নেই। তাওহীদের প্রশ্নে, শানে রেসালতের প্রশ্নে, ইসলামের ইজ্জত সমুন্নত রাখার প্রশ্নে বাংলাদেশের হক্কানি ওলামা-মাশায়েখ অতীতেও আপস করেনি বর্তমান কিংবা ভবিষ্যতেও আপস করবে না।’
শাহ্ আহমদ শফী বলেন, ‘সমাজের সর্বস্তরের মুসলমানদের অন্তরে আলিম সমাজের প্রতি যে শ্রদ্ধা, ভক্তি ও ভালবাসা রয়েছে। এটাকে ইসলামবিদ্বেষী শয়তানি শক্তি ভয় করে তাই সাধারণ মুসলমানদের কাছে আলিমদের হেয় করার অপচেষ্টা তাদের যুদ্ধকৌশলের অংশ। এতে বিভ্রান্ত হবার কোনো কারণ নেই। ওলামায়ে কেরাম জীবন দেয় কিন্তু ইমান বিক্রি করে না। হেফাজতে ইসলাম মুসলমানদের ইমান, আকিদা, তাহযীব-তামাদ্দুন ও ইসলামী আদর্শ বুলন্দ রাখার জন্য শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খল ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করে যাবে। কারো উস্কানি, প্রলোভন কিংবা ভয়ভীতিকে আমরা পরোয়া করি না। মহান আল্লাহই আমাদের শ্রেষ্ঠ অভিভাবক, ভরসা ও সাহায্যকারী।’
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মহাসচিব হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরী, নায়েবে আমির ও ঢাকা মহানগরীর আহ্বায়ক নূর হোসেন কাসেমী, কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাক মহাসচিব মাওলানা আবদুল জব্বার, ঢাকা মহানগরীর যুগ্ম আহ্বায়ক, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মুফতি জসিম উদ্দীন, মাওলানা ফোরকান আহমদ, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, ঢাকার সহকারী সদস্য সচিব মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী প্রমুখ।