বার কাউন্সিলের সভায় সিদ্ধান্ত তিন ভার্সিটির শিক্ষার্থীরা এ্যাডভোকেট হতে পারবে না
সাত থেকে তিনে নামল প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা। বার কাউন্সিলের সভায় চূড়ান্তভাবে তিনটি প্রাইভেট ভার্সিটির (বিশ্ববিদ্যালয়) শিক্ষার্থীরা আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এ্যাডভোকেট হতে পারবে না।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের মূল কমিটির সভায় তিন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তিকরণ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না দেওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই তিন বিশ্ববিদ্যালয় হল— দারুল ইহসান, আমেরিকা-বাংলাদেশ ও ইবাইস।
একই সঙ্গে অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে আরও কিছু তদন্তসাপেক্ষে তাদের শিক্ষার্থীদের অনুমতি দেওয়া হতে পারে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া নর্দান ও বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। আর প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের শুধুমাত্র রাজধানীর দারুস সালামে অবস্থিত ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারবে।
বার কাউন্সিল সূত্র জানায়, তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্থায়ীভাবে এ্যাডভোকেটশিপ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তবে খোঁজ-খবরের পর বার কাউন্সিল ইতিবাচক মনে করলে অতীশ দীপঙ্করের শিক্ষার্থীদের অনুমতি দেওয়া হবে। অন্যথায় অতীশ দীপঙ্করের শিক্ষার্থীরাও স্থায়ীভাবে এ্যাডভোকেটশিপ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ হারাবে।
গত ১৩ নভেম্বর বার কাউন্সিলের মূল কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
সাত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে এ্যাডভোকেটশিপ পরীক্ষায় রেজিস্ট্রেশনের অনুমতি না দিতে লিগ্যাল এডুকেশন কমিটির সুপারিশ আমলে নিয়ে সিদ্ধান্তের জন্য বার কাউন্সিল বেশ কয়েকবার সভা করে।
এরপর এই সাত বিশ্ববিদ্যালয়কে তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য সুযোগ দেয় বার কাউন্সিল। গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে দুই দিবস স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয় তাদের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে সকল তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাইপূর্বক গত ১৩ নভেম্বর বার কাউন্সিলের মূল কমিটির সভায় এই সাত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন দ্য রিপোর্টকে বলেন, দারুল ইহসান, ইবাইস ও আমেরিকা-বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এ্যাডভোকেটশিপ পরীক্ষায় অংশ নিতে অনুমতি দেওয়া হবে না।
এ ছাড়া শর্ত সাপেক্ষে অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুমতি দেওয়া হতে পারে বলেও জানান তিনি।
খন্দকার মাহবুব হোসেন আরও বলেন, পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারবে না। অদূর ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয় তিনটি যদি তাদের সব সমস্যা সমাধান করতে পারে তাহলে সে ব্যাপারে আবার বার কাউন্সিল ভেবে দেখবে।